সরকারি বিপণনকারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি আমদানি করবে সরকার, যাতে খরচ হবে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আমদানি করা প্রতি টন চিনির দাম পড়বে ৫২৪ ডলার। জেএমআই নামে একটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ব্রাজিল থেকে এই চিনি আমদানি করবে।
বর্তমানে দেশীয় বাজারে এলাকাভেদে প্রতি কেজি চিনি ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর টিসিবি তার সুবিধাভোগীদের কাছে বিক্রি করছে ৫৫ টাকায়।
বাকি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। শুধু টিসিবির কার্ডধারীরাই ভর্তুকিমূল্যে এই চিনি পাবেন।
বর্তমানে টিসিবির এক কোটি কার্ডধারী আছেন, যারা চিনি, চাল, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাশ্রয়ী দামে পাচ্ছেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের মতো দেশে চিনির বাজার হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে। সে জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির কাঁচামালের অতিরিক্ত মূল্য ও ডলারের দরবৃদ্ধিকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বেসরকারি চিনিকলগুলো বিশ্ববাজার থেকে চিনির কাঁচামাল আমদানি করে দেশে নিয়ে আসে নিজেদের কারখানায় প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বাজারজাত করে।
বর্তমানে দেশে বার্ষিক চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ টন। এর সিংহভাগই আমদানি করতে হয়।
দেশীয় চিনিকলগুলো বছরে মাত্র এক থেকে দেড় লাখ টন চিনি উৎপাদন করতে পারে।
বর্তমানে সরকারি পর্যায়ে ১৫টি চিনিকল আছে। এর মধ্যে গত দুই বছরে ৬টির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন চিনি উৎপাদন কমে গেছে।
দেশে চিনির বাজার বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভরশীল। গত অক্টোবরে সরকার প্রতি কেজি চিনির মূল্য ৯০ টাকা বেঁধে দিলেও তা কার্যকর হয়নি। ফলে চিনির বাজারে চলছে অস্থিরতা।