পুঁজিবাজারের আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের শেয়ার লেনদেন বন্ধের মেয়াদ আরও এক দফায় বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে ৭৫ দফায় কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধের মেয়াদ বাড়ল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন আরও ১৫ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই হিসাবে ৯ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন বন্ধ থাকবে।
গত ২৫ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির লেনদেন ৭৪ দফায় বন্ধ ছিল। ২০১৯ সালের ১৩ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রথমবারের মতো কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এরপর থেকেই ১৫ দিন পরপর কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়ে যাচ্ছে ডিএসই। তাতে এ কোম্পানিতে আটকে থাকা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
হাজার হাজার কোটি টাকা অনিয়মের কারণে ডুবতে বসা পিপলস লিজিং ২০১৪ সালের পর থেকে আমানতকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। এরপর ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে দেশের পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ হয়।
এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ড ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতেও প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
একপর্যায়ে পিপলস লিজিংয়ের ভুক্তভোগী কয়েক আমানতকারী টাকা ফেরত পেতে হাইকোর্টে আবেদন করেন। মামলাটি চলমান থাকায় বারবার লেনদেন বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়ে যাচ্ছে ডিএসই।