দেশের করপোরেট খাতে অসামান্য অবদান রাখায় ‘বিজনেস ডিরেক্টর অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেলেন ‘নগদ’-এর চিফ বিজনেস অফিসার শেখ আমিনুর রহমান।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে ‘সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস ২০২২’-এ এই সম্মাননা পান তিনি। ব্র্যান্ড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টের ষষ্ঠতম আসর ‘লিডারশিপ সামিট ২০২২’। এ বছর এই সামিটের মূল থিম ছিল ‘টান্সফরমেটিভ হিউমেন লিডারশিপ ডিউরিং অর্ডিনারি টাইমস।’
মূলত দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় লিডারশিপ সামিট। ‘সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস ২০২২’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৬টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৬ জন করপোরেট লিডারকে এই সম্মাননা দেয় ব্র্যান্ড ফোরাম।
আমিনুর রহমানের ‘বিজনেস ডিরেক্টর অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার অর্জনের পেছনে বিশেষ অবদান রেখেছে অসামান্য নেতৃত্বের গুণাবলি। বর্তমানে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর দৈনিক হাজার কোটি টাকার লেনদেন, ৬ কোটিরও বেশি গ্রাহকভিত্তি তৈরি ও বিজনেস গ্রোথে বিশেষ অবদান রেখেছেন তিনি।
এ ছাড়া করপোরেট এক্সিকিউটিভ ক্লাব লিমিটেড নামের একটি প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। যেখানে ইন্ডাস্ট্রির এফএমসিজি, আইটি, টেলিকম, ফার্মা ও ব্যাংকিংসহ এমন সব কমিউনিটির নেতাদের একত্রীকরণে কাজ করে যাচ্ছেন ‘নগদ’-এর সিবিও আমিনুর রহমান। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ক্যারিয়ারের সাথে সাথে নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরি করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার কোচিং, কর্মশালা, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজনেস-সম্পর্কিত লেকচার ও দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
শেখ আমিনুর রহমান বলেন, ‘পুরস্কার প্রাপ্তি সবার জন্য একটি আনন্দের মুহূর্ত। আমি এই পুরস্কার পেয়ে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। আমি এখনো আমার কাজের মাধ্যমে আমার বিভিন্ন পর্যায়ের সহকর্মীর কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয় শিখছি। এই ধরনের পুরস্কার সামগ্রিক এই চেষ্টাগুলোকে বেগবান করবে।’
এর আগেও মানি ২.০; আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, এলএফবি লিডারশিপ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড, টেলিনর টপ টেলেন্টসহ বহু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন আমিনুর রহমান।
‘সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস’ প্রযোজনায় ইউনাইটেড গ্রুপ, সহযোগিতায় ছিল টিম গ্রুপ, দ্য ডেইলি স্টার ও ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের এই অ্যাওয়ার্ড শোতে দেশের প্রায় প্রায় ৩৫০ জন ব্যবসায়ী নেতা, বিশেষজ্ঞ ও করপোরেট ব্যক্তিত্ব অংশ নিয়েছেন।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের তথ্যানুযায়ী, আয়োজনের প্রথম সংস্করণে ৩০টি কোম্পানি থেকে ১০০ জনের অধিক নমিনেশন জমা পড়ে। বিশেষজ্ঞ জুরিবোর্ডের পর্যালোচনায় সেখান থেকে বাছাই করা হয়। তারপর ১৬টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৬ জন এক্সিকিউটিভকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।