বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে জ্বালানি খাতে তালিকাভুক্ত ‘অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন’ বন্ড ছেড়ে ২৫০ কোটি টাকা তুলতে চায়। রোববার তারা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন জানিয়েছে তাদের পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে তারা তাদের ব্যবসা বাড়াবে।
অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন বাংলাদেশে অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন গ্যাস উত্পাদন ও সরবরাহ করে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে নিবন্ধিত হয় ১৯৯০ সালে। ১৯৯২ সাল থেকে তারা ব্যবসা শুরু করে।
কোম্পানিটি যে বন্ড ছাড়বে সেই বন্ড গুলো হবে কনভার্টিবল। অর্থাৎ পরে এই বন্ডগুলোকে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে। বন্ড ছাড়তে ইতোমধ্যে তারা মার্চেন্ট ব্যাংক জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের সাথে চুক্তি করেছে। জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট তাদের হয়ে এই বন্ড ছেড়ে টাকা তোলার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবে।
এখন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি অনুমোদন দেয়, আর পরবর্তী সাধারণ সভায় যদি কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা অনুমোদন দেন, তাহলে তারা এই টাকা তুলতে পারবে।
রোববার অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন-এর শেয়ারের সমাপনী দাম ছিল ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা। ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ১৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা মুনাফা করে, লভ্যাংশ দেয় শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা। আর প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ৮টি শেয়ার।
২০২০-২১ অর্থবছরে এটি মুনাফা দেখায় ২১ কোটি ৫১ লাখ টাকা, লভ্যাংশ ছিল শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা। আর আর প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ৭টি শেয়ার।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১০ কোটি ৯৭ লাখ ৮২ হাজার শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৬৫ শতাংশ রয়েছে পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে রয়েছে দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৪৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন বর্তমান বাজার মূলধন ৪০০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১০৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর রিজার্ভের পরিমাণ ৭৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।