বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভ্যাট: ৫০ শীর্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এনবিআর নজরদারিতে

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২২ ২০:০৮

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা আছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাটের লক্ষ্য ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মূল্য সংযোজন কর– ভ্যাট আদায় বাড়াতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। এ ছাড়া টোব্যাকো বা তামাক খাতে কর ফাঁকি রোধ করে এ খাতে থেকে আদায় আরও বাড়াতে চায় সংস্থাটি।

বর্তমানে সাড়ে তিন শ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের কাছ থেকে মোট ভ্যাটের ৫৪ শতাংশ আদায় হয়। এদের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ ভ্যাট পরিশোধ করে, এমন শীর্ষ ৫০ প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করে নিবিড় তদারকি করার জন্য সম্প্রতি এনবিআর থেকে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের মাসিক বিক্রির তথ্য, নিয়মিত রিটার্ন ও অডিট যথাসময় হচ্ছে কিনা– এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে এনবিআরে পাঠাতে বলা হয়েছে।

আইনে যেসব প্রতিষ্ঠান বছরে ৫ কোটি টাকার বেশি বিক্রি করে (টার্নওভার) তাদেরকে বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান যা বিক্রি করে তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট আদায় বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রত্যেক ভ্যাট কমিশনারেটের আওতায় শীর্ষ ৫০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি বাড়াতে।

এনবিআর কর্মকর্তা জানান, টোব্যাকো খাতেও ভ্যাট আদায় বাড়াতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে নকল ব্রান্ডের সিগারেট তৈরি করছে কিছু কোম্পানি। এতে করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

অবৈধ পন্থায় যেসব প্রতিষ্ঠান সিগোরেট নকল করে বাজারজাত করছে, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে এনবিআর থেকে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট আহরণের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে টোব্যাকো বা তামাক। মোট ভ্যাট আহরণের ৩৩ শতাংশ আসে এই খাত থেকে।

গত অর্থবছর এ খাত থেকে আদায় হয় প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা সিগারেট থেকে। বিড়ি থেকে ১ হাজার কোটি টাকা। বাকি রাজস্ব আসে জর্দা ও গুল থেকে।

এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, টোব্যাকো খাতে তদারিক কঠোর করতে পারলে এ খাত থেকে আদায় আরও বাড়বে।

এনবিআর সাবেক সদস্য ফরিদ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, দেশব্যাপী লাখ লাখ প্রতিষ্ঠান ভ্যাট প্রদানে সক্ষম হলেও কৌশলে ফাঁকি দিচ্ছে। সার্মথ্যবান সব প্রতিষ্ঠানকে আওতায় আনতে পারলে আদায় অনেক বাড়বে।

তিনি মনে করেন, যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভ্যাট পরিশোধ করে তাদের কাছ থেকে বেশি আদায়ে চেষ্টা করা হয়। ফলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ বাড়ে। এ চাপ কমাতে হলে যোগ্য সব প্রতিষ্ঠানকে আওতায় আনার কোনো বিকল্প নেই।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা আছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাটের লক্ষ্য ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

তবে চলিত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ভ্যাট আহরণের গতি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা কমে গেছে।

বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় ভ্যাট আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানান এনবিআরের ভ্যাট কর্মকর্তারা।

এনবিআর সাবেক সদস্য রেজাউল হাসান বলেন, আদায় বাড়াতে সরকার যে ইলেকট্রনিক ফিশকল ডিভাইস চালু করেছে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হলে ভ্যাট ফাঁকি অনেকাংশে কমে যাবে। এজন্য এনবিআরকে নিয়মিত তদারিক করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর