বড় ধরনের কোনো অভিঘাত না এলে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে উন্নয়শীল দেশের কাতারে যাবে বাংলাদেশ। তবে উত্তরণের পর বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ বিশেষ মোকাবিলা করতে হবে।
চ্যালেঞ্জটা মোকাবেলা করতে হবে বিশেষ করে রপ্তানি খাতে। কারণ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেলে শুল্কমুক্তসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। এতে করে বিশ্ববাজারে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হতে পারে।
সরকার এখন থেকেই সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার অংশ হিসেবে নানা বিষয় নিয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এর অধিনস্ত দপ্তর ও সংস্থাগুলো।
সূত্র জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) এলডিসি-উত্তর বাণিজ্য সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো শনাক্তকরণে চারটি খাত নিয়ে গবেষণা করছে। সেগুলো হলো- তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং মৎস্য ও পশুসম্পদ। প্রতিষ্ঠানটি এসব খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ইতোমধ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে।
এই চারটি খাত নিয়ে পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবার এক সভার আয়োজন করে বিএফটিআই। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সভায় বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরকে এলডিসি-উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সক্ষমতা বাড়াতে রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের বিকল্প নেই।
‘শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মপরিবেশের উন্নতির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাত ও সংশ্লিষ্ট বিজনেস এসোসিয়েশনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ. এইচ. এম. আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও উইং-এর মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও বিজিএমইএ’র পরিচালক আসিফ আশরাফ।