যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আরও একটি ওষুধ রপ্তানির সুবিধা পেল পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেনাটা লিমিটেড।
কোম্পানিটির গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর কারখানাটি যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (ইএসএফডিএস) অনুমোদন পেয়েছে। একই সঙ্গে কারখানায় উৎপাদিত উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ মেটোপ্রোলল টারট্রেট রপ্তানির অনুমতিও দিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বৃহস্পতিবার কোম্পানি এই তথ্য জানিয়েছে।
তথ্যমতে, রিসপেরিডন, মেট্রোপ্রোলল টারট্রেট, রোলিপ ও গ্লাইকোপাইরোলেটসহ রেনাটার ছয়টি ওষুধ আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত আছে। এর মধ্যে রোলিপ (রোসুভাস্ট্যাটিন) রপ্তানি শুরু হয়েছে, যা বাংলাদেশেও বিক্রি হয়। বাকিগুলোর রপ্তানি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো রেনাটার সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। কোম্পানিটি আশা করছে, এই অনুমোদনের পর রেনাটা প্লেইন জেনেরিক, প্যারা আইভি এবং এনসিই-১ ফিলিংস নিয়ে মার্কিন বাজারে প্রবেশ করবে।
২০২১ সালে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২৫ টাকা ৪১ পয়সা। বর্তমানে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫১.১৮ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৯.৫৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২২.৭৪ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ৬.৫৯ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
রেনাটা লিমিটেড বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এবং দ্রুত বর্ধনশীল ফার্মাসিউটিক্যাল এবং পশুস্বাস্থ্য পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি। কোম্পানিটি ১৯৭২ সালে ফাইজার (বাংলাদেশ) লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৯৩ সালে কোম্পানিটি বাংলাদেশের কার্যক্রমের মালিকানা স্থানীয় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে হস্তান্তর করে এবং কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রেনাটা লিমিটেড করা হয়।
রেনাটা লিমিটেডের মূল ব্যবসা হলো মানুষের ওষুধ এবং পশুস্বাস্থ্য পণ্য উৎপাদন ও বিপণন। বাংলাদেশে এটি চতুর্থ বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এ ছাড়া কোম্পানিটি আফগানিস্তান, বেলিজ, কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, গায়ানা, হন্ডুরাস, হংকং, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ভিয়েতনামে ওষুধ রপ্তানি করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ১৩ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকার বেশি।
কোম্পানির তিনটি উৎপাদন সাইটে দশটি উৎপাদন কারখানা রয়েছে। সারা দেশে ১৯টি ডিপোর মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করে থাকে কোম্পানিটি।