দেশে গ্যাস-সংকটের মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ব্যবহার বন্ধের পক্ষে মত জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা-বিষয়ক টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সভার বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের আলোচনায় এ কথাগুলো আসছে যে পরিবহন খাতে যদি গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো যায় তবে জ্বালানি তেলের ওপর চাপ কমবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। এটা আমাদের দেখার প্রয়োজন নেই।
‘তবে আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত যে গাড়িতে গ্যাস সরবরাহে যতটা প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, এখন ওই গ্যাস বেসিক রিকোয়ারমেন্ট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজন। যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই৷ বিদ্যুতের অবস্থা উন্নীত হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়ে আমরা তাদের (জ্বালানি মন্ত্রণালয়) জানাব।
চলতি শতকের শুরুতে রাজধানীতে বায়ুদূষণ কমাতে যানবাহনে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) সরবরাহ শুরু করে সরকার। এর ফলে শহরের বায়ূদূষণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
কিন্তু ডিজেল বা অকটেনের মতো জ্বালানির তুলনায় দামে সস্তা হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়িতে সিএনজির ব্যবহার বাড়তে থাকে। শুরুতে গণপরিবহনগুলোও জ্বালানি হিসেবে সিএনজি ব্যবহার করলেও বর্তমানে তা থেকে অনেকটাই দূরে সরে এসেছে।
বাস মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের হিসাবে বর্তমানে রাজধানীতে চলাচলকারী ৮০ শতাংশ বাসই চলে জ্বালানি তেলে।
এর ফলে, মূল্যবান জ্বালানি সিএনজি ভর্তুকি মূল্যে কেন ব্যক্তিগত গাড়িতে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা রয়েছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকটের মধ্যে বাংলাদেশে এর সংকট রয়েছে। সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে সরকার।
শিল্পমালিকেরা বেশ কিছু দিন ধরেই ব্যক্তিগত গাড়িতে গ্যাস বন্ধ করে দিয়ে তা শিল্প উৎপাদনে সরবরাহ করার দাবি জানিয়ে আসছেন।