বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘গোড়ায় গলদের’ পর বড় দরপতন

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:০২

গত সপ্তাহেও এভাবে কারিগরি ত্রুটির কারণে লেনেদেনে বিঘ্ন ঘটেছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তদন্ত চলার মধ্যে রোববার ডিএসইতে দেড় ঘণ্টা পর লেনদেন শুরুর পর সূচক পড়ে ৪৩ পয়েন্ট। দর হারায় বিপুলসংখ্যক কোম্পানি।

আগের সপ্তাহে একটু একটু করে সূচক ও লেনদেন বাড়লেও বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন কর্মদিবসে ৫০টিরও বেশি কোম্পানির লভ্যাংশ ও আরও প্রায় সমসংখ্যক কোম্পানির প্রান্তিক ঘোষণার প্রভাবে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে আবার দরপতন হলো।

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে লেনদেন শুরু নিয়েই ঘটেছে নানা কাহিনি। কারিগরি জটিলতায় সকাল সাড়ে ৯টায় নির্ধারিত সময়ে লেনদেন শুরু করা যায়নি। প্রথমে জানানো হয়েছিল, লেনদেন শুরু হবে সকাল ১০টায়। কিন্তু তখনও লেনদেন শুরু করতে না পারার পর জানানো হয় সাড়ে ১০টায় শুরু হবে লেনদেন।

কিন্তু তখনও লেনদেন শুরু করা যায়নি। এরপর জানানো হয়, লেনদেন শুরু হবে বেলা ১১টা থেকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় লেনদেন।

আর দেরিতে শুরু হওয়ার পর লেনদেন চলে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত, যদিও এমনিতে দুপুর ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন চলার কথা।

গত সপ্তাহেও এভাবে কারিগরি ত্রুটির কারণে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটেছিল। আর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিপুলসংখ্যক শেয়ার দর হারাতে থাকে। সেই সঙ্গে কমতে থাকে ডিএসইর প্রধান সূচক। একপর্যায়ে ডিএসইএক্স কমে যায় ৫৫ পয়েন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত ৪৩ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ হয় লেনদেন।

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

পাঁচ কর্মদিবস শেষে বৃহস্পতিবার লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়ালেও তা আবার নেমে গেছে ৮০০ কোটির ঘরে। হাতবদল হয়েছে মোট ৮২৬ কোটি ৫৯ লাখ ৯১ হাজার টাকার শেয়ার। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ১ হাজার ৯৪ কোটি ৯৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

আগের সপ্তাহে টানা তিন কর্মদিবস দরপতন হওয়া কোম্পানির চেয়ে দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা বেশি থাকলেও এদিন বেশিসংখ্যক কোম্পানির দর কমেছে। ৪৪টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ৯১টির। গত কয়েক মাসের ধারাবাহিকতায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কোম্পানির দর ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে।

বেশি কমেছে লভ্যাংশ মনপুঃত না হওয়া স্বল্প মূলধনির

স্বল্প মূলধনি যেসব কোম্পানি বোনাস শেয়ারের বদলে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর দর বেশি কমেছে। তবে সূচকের পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেস্কিমকো গ্রুপের দুই কোম্পানি আর ওরিয়ন গ্রুপের তিনটি।

সবচেয়ে বেশি ১১.৫৯ শতাংশ দর কমেছে ৮ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের প্রাণ এএমসিএলের। কোম্পানিটি আগের বহু বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও নগদ ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকে চলতি বছরের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা করতে হবে। প্রাণের মূলধন বাড়াতে হবে প্রায় চার গুণ।

বোনাস বা রাইট শেয়ার দেয়া হবে এই আশায় গত এক বছরে সর্বনিম্ন দরে ২০৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে শেয়ারদর উঠে গিয়েছিল ৩৯৯ টাকায়।

গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির বোর্ড সভার দিন শেয়ার দর ছিল ৩০২ টাকা ৭০ পয়সা। কোনো মূল্যসীমা না থাকার এদিন দর ৩৫ টাকা ১০ পয়সা কমে নেমে এসেছে ২৬৭ টাকা ৬০ পয়সায়।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১.৪১ শতাংশ দর কমেছে বিডিকম অনলাইনের। কোম্পানিটি এবার ভালো লভ্যাংশ দেবে গুঞ্জনে গত তিন মাসে শেয়ারদর আড়াই গুণ হয়ে গিয়েছিল।

ফ্লোর প্রাইস ঘোষণার দিন গত ২৮ জুলাই দর ছিল ২৯ টাকা ৬০ পয়সা। সেখান থেকে দর ৭৯ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে যায় অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। তবে যেভাবে উঠছিল, পড়ছিল সেভাবেই। আট কর্মদিবসেই সেখান থেকে দর কমে ৪২ টাকা ৩০ পয়সায় নেমে আসে। তবে এরপর আরও তিন কর্মদিবসে দর বেড়ে হয় ৪৮ টাকা ৪০ পয়সা।

কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৪০ পয়সা আয় করে এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর দর হারিয়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা। নেমে এসেছে ৪১ টাকা ৯০ পয়সায়।

সবচেয়ে বেশি দর কমেছে স্বল্প মূলধনি কোম্পানির

তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০.১৮ শতাংশ দর হারিয়েছে আরএফএল। ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির দরও তরতর করে বাড়ছিল বোনাস বা রাইট শেয়ারের গুঞ্জনে। কিন্তু বহু বছরের ধারাবাহিকতায় এটি এবারও ২৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার পর বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছে।

এই কোম্পানিটির শেয়ারদর গত ২৮ জুলাই ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে তিন মাসেরও কম সময়ে উঠে যায় ২৩২ টাকা ৪০ পয়সায়। এক দিনে ১৯ টাকা ৬০ পয়সা কমে দর দাঁড়িয়েছে ১৭৩ টাকায়।

আগামী ৭ নভেম্বর লভ্যাংশ-সংক্রান্ত সভা করতে যাওয়া ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস দর হারিয়েছে ১০ শতাংশ, যে কোম্পানিটির দর সম্প্রতি লাফাচ্ছিল।

এ ছাড়া গত সপ্তাহে শেয়ারপ্রতি এক টাকা ২০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা জেএমআই হসপিটালের দর ৯.৩৯ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের দর ৮.৪৯ শতাংশ কমেছে।

স্বল্প মূলধনি পেপার পোসেসিং ৮.১১ শতাংশ, জেমিনি সি ফুড ৭.৪৫ শতাংশ, অ্যাপেক্স ফুড ৭.৪২ শতাংশ, এবং তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল ৭.৩৭ শতাংশ দর হারিয়েছে।

আরও একটি কোম্পানির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৩টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৭টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৮টির দর কমেছে ৪ শতাংশের বেশি।

এমনকি শেয়ার প্রতি ২ টাকা নগদ ও প্রতি ১০টি শেয়ারের বিপরীতে ৮টি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা স্বল্প মূলধনি আনোয়ার গ্যালভানাইজিংও ৩.৫৩ শতাংশ বা ১৮ টাকা ৬০ পয়সা দর হারিয়েছে।

গত এক মাসে কোম্পানিটির দর ৩৯২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৫৯০ টাকা উঠে গিয়েছিল। লভ্যাংশ ঘোষণার পর প্রথম কর্মদিবসে দর দাঁড়িয়েছে ৫০৮ টাকা।

সূচকে বেশি প্রভাব বেক্সিমকো এবং ওরিয়ন গ্রুপের পাঁচ কোম্পানি

স্বল্প মূলধনির দর বেশি কমলেও সূচকে প্রভাব ফেলার মতো কোম্পানি সেগুলো না। আলোচিত এই দুটি গ্রুপের বেস্কিমকো লিমিটেড ও বেস্কিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, বিকন ফার্মা ও কোহিনূর কেমিক্যালস সূচক কমিয়েছে বেশি।

আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ আয় করেও বেস্কিমকো লিমিডেট লভ্যাংশ কমিয়েছে ৫ শতাংশ, আর বেস্কিমকো ফার্মা দেড় গুণ আয় করেও লভ্যাংশ বাড়ায়নি।

এর প্রভাবে বেস্কিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর নেমে এসেছে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসে। বেস্কিমকো ফার্মার দরও ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি নেমেও পরে সেখান থেকে কিছুটা বেড়েছে।

বেস্কিমকো লিমিটেডের ২.৬১ শতাংশ দরপতনে ৭.৫১ পয়েন্ট, বেস্কিমকো ফার্মার ২.০৫ শতাংশ দরপতনের কারণে কারণে ৬.১৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে।

ওরিয়ন গ্রুপের চারটি কোম্পানির মধ্যে গত সপ্তাহে বিকন ফার্মা লভ্যাংশ ঘোষণা করে। কোম্পানিটির শেয়ারদর গত আড়াই বছরে ১৫ গুণের বেশি বেড়েছে। তবে লভ্যাংশ আহামরি হয়নি। তারপরও গত সপ্তাহে দর বেড়েছিল। নতুন সপ্তাহের শুরুতেই দর হারিয়ে একক কোম্পানি হিসেবে সূচক কমাল সবচেয়ে বেশি।

সূচক সবচেয়ে বেশি কমিয়েছে এই ১০টি কোম্পানি

এই গ্রুপের আরও দুই কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মা এবং তুমুল আলোচিত ওরিয়ন ইনফিউশন এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা-সংক্রান্ত পর্ষদ সভার সময় ঘোষণা করেনি।

বিকন ফার্মার ৪.৭৯ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ১০.৭৪ পয়েন্ট। একক কোম্পানি হিসেবে আর কোনোটি সূচকে এত বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি।

ওরিয়ন ফার্মার ৪.০৪ শতাংশ দরপতনে ৩.১৭ পয়েন্ট আর কোহিনুর কেমিক্যালসের ১.৯২ শতাংশ দরপতনে সমান সংখ্যক পয়েন্ট সূচক কমেছে।

গ্রুপের আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের দর কমেছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা।

এছাড়া সোনালী পেপার, জেএমআই হসপিটাল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইউনিক হোটেল, ও শাহজিবাজার পাওয়ারের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৪৫ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট।

বিপরীতে ১১ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে নাভানা ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭৮ দশমিক ০৮ শতাংশ।

সি-পার্লের দর ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।

এডিএন টেলিকম সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৭ দশমিক ০৯ শতাংশ।

এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, বসুন্ধরা পেপার, ইস্টার্ন ক্যাবলস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাইম ব্যাংক, যমুনা অয়েল ও মুন্নু সিরামিকস।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৭০ পয়েন্ট।

শীর্ষ ৫ খাত যেমন

একমাত্র খাত হিসেবে ২১টি বা ৫১.২২ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধি দেখা গেছে সাধারণ বিমা খাতে। এ ছাড়া সবগুলো খাতেই দরবৃদ্ধি ও দরপতনের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দর বা ফ্লোর প্রাইসে।

তালিকায় থাকা বস্ত্র খাতে সবচেয়ে বেশি ৪৯টি, ব্যাংক ২৭টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ১৮টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৬টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।

একদিন পরেই আবার শীর্ষে চলে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এক মাত্র এই খাতটিতেই শতকোটির ওপরে লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ১৬৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আগের দিনে এর পরিমাণ ছিল ১৪১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৫টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ১৪টির।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিনে ১১৮ কোটি ৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। খাতটিতে ৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২২টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে ও ১৫টির দরপতনে।

তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিবিধ খাতে। ৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ৬টির।

৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন করে চতুর্থ স্থানে থাকা সাধারণ বিমা খাতের ২১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে আগের দরে লেনদেন হয়েছে ১৯টির। ১টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে।

কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ৬৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি, ৩টির দরপতন ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে ১টির।

প্রযুক্তি খাতে ৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ছাড়া আর কোনো খাতের লেনদেন পঞ্চাশ কোটি অতিক্রম করেনি।

দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০

সর্বোচ্চ ৭৮ দশমিক ০৮ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি নাভানা ফার্মার। ৫১ টাকা ১০ পয়সার শেয়ার ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৯১ টাকায়।

গত ১৮ অক্টোবর ২৪ টাকায় পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে কোম্পানিটি। টানা ৭ কর্মদিবস ১০ শতাংশের আশোপাশে বেড়ে বৃহস্পতিবার দড় দাঁড়ায় ৫১ টাকা ১০ পয়সায়।

সেদিন লেনদেন শেষে কোম্পানিটি ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আর এই লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে এদিন শেয়ারটির কোনো মূল্যসীমা ছিল না।

তিনটি কোম্পানির দর বেড়েছে পুরোপুরি ১০ শতাংশ। এর পরেই দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে লেনদেন শুরু করা চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১১ টাকায়।

ইস্টার্ন ক্যাবলসের শেয়ার ১৯০ টাকা থেকে বেড়ে ২০৯ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।

একই সমান দর বেড়ে হাক্কানি পাল্প ৬৯ টাকা ৩০ পয়সা লেনদেন হয়েছে। আগের দর ছিল ৬৩ টাকা।

এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৮.৯৬ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৮.৭৮ শতাংশ, এডিএন টেলিকম ৭.০৮ শতাংশ, মুন্নু সিরামিকস ৬.৮৯ শতাংশ, সিনোবাংলা ফার্মা ৬.০১ শতাংশ ও ইনফরমেশন সার্ভিসেসের দর বেড়েছে ৫.৩৬ শতাংশ।

এ ছাড়াও ৭টি করে ১৪টি কোম্পানির দর বেড়েছে ৪ ও ৩ শতাংশের বেশি, ২টির ২ শতাংশের বেশি, ১০টির এক শতাংশের বেশি এবং ১১টির দর বেড়েছে এক শতাংশের কম।

এ বিভাগের আরো খবর