স্বাভাবিক সময়ের দেড় ঘণ্টা পর লেনদেন শুরু হওয়ার কারণ জানিয়ে রোববার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লিমিটেড।
ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ (৩০.১০.২০২২) লেনদেন বন্ধ থাকার জন্য কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি নেই। ডিএসই মার্কেট অপারেশন ভুলবশত ৭০টি সিকিউরিটিজের পরিবর্তে সব সিকিউরিটিজের ওপর সার্কিট ব্রেকার আরোপের ফলে মার্কেট বন্ধ রাখা হয়।
‘এই ভুল সংশোধন করে মার্কেট সকাল সাড়ে ৯টার পরিবর্তে ১১টায় চালু করা হয়, যা দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য ডিএসই কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করছে।’
সপ্তাহখানেক আগেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লেনদেন বন্ধ হয়েছিল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে। সেই ঘটনা তদন্তের মধ্যেই ফের কারিগরি সমস্যায় নির্ধারিত সময়ে লেনদেন শুরু করতে পারেনি ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
সাধারণত সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু হয়, তবে সমস্যার বিষয়টি জানিয়ে ডিএসইর ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে ডিএসইর লেনদেন নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর পুনরায় চালু হবে।’
সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর কথা বলা হলেও সেটি পিছিয়ে শুরুতে সাড়ে ১০টা করা হয়। পরবর্তী সময়ে সে সময় আরও আধাঘণ্টা পিছিয়ে বেলা ১১টা করা হয়।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল ডিএসইতে। ওই দিন সকাল ১০টা ৫৮ মিনিট থেকে বন্ধ হয়ে যায় লেনদেন, যা ২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
পরে আবারও লেনদেন শুরু হয় বেলা ২টা ১০ মিনিটে, যা চলে ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। ওই দিন পোস্ট ক্লোজিং সেশন কমিয়ে ৫ মিনিট বা আড়াইটা পর্যন্ত করা হয়েছিল।
লেনদেন বিপর্যয়ের কারণ তদন্তে কমিটি গঠন করে বিএসইসি। সংস্থাটির পরিচালক আবুল হাসানকে টিম লিডার ও সহকারী পরিচালক দস্তগীর হোসেনকে সদস্যসচিব করে পাঁচজনের একটি দলকে দেয়া হয় দায়িত্ব।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিএসইসির উপপরিচালক ওয়ারিসুল হাসান রিফাত, সিসিবিএলের মহাব্যবস্থাপক ও সিটিও ইমাম হোসেন এবং সিডিবিএলের মহাব্যবস্থাপক মইনুল হক।
বিএসইসির অর্ডারে বলা হয়, ‘ডিএসইর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিরতিহীনভাবে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হয়েছে, যা সিকিউরিটিজ মার্কেটের জন্য অপ্রত্যাশিত।’
৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল, তবে তদন্তের মধ্যেই আবারও লেনদেন বন্ধ হলো।
আজকের লেনদেন শুরু না হওয়ার বিষয়ে এক ট্রেডার বলেন, ‘সকাল থেকেই সফটওয়্যারে কোনো আদেশ দিতে পারিনি। কয়েকটি হাউসে যোগাযোগ করেছি। তারাও এ সমস্যার কথা জানিয়েছেন।’