ফের কারিগরি সমস্যার কারণে লেনদেন বন্ধ হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। অলস এ সময়টায় তাই সাকিব আল হাসানদের সঙ্গী হলেন বিনিয়োগকারীরা।
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লড়ছে বাংলাদেশ। এই লড়াইয়ে মাঠে বা গ্যালারিতে নয়, বরং ব্রোকারেজ হাউসে টেলিভিশনের সামনে বসে বিনিয়োগকারীরা অদৃশ্যভাবে তাদের সঙ্গ দিচ্ছেন।
মাধ্যম ভিন্ন, তবে আবেগ, উত্তেজনা, উচ্ছ্বাস বা বিষাদ যখন যেটির দরকার পড়ছে কোনোটিরই কম পড়ছে না। টাইগাররা ভালো খেলতে যেমন উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা, খারাপ খেললে তেমন পড়ছে মাথায় হাত।
শনিবার সকাল ৯টায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে হলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই খেলায় জয়ের বিকল্প নেই। বাঁচামরার সেই লড়াইয়ে শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দল।
সাধারণত সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু হয় ডিএসইতে। তবে কারিগরি সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ে লেনদেন শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
সমস্যার বিষয়টি জানিয়ে ডিএসইর ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে ডিএসইর লেনদেন নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর পুনরায় চালু হবে।’
পরে সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর কথা বলা হলেও সেটি পিছিয়ে সাড়ে ১০টা করা হয়। পরবর্তী সময়ে সে সময় আরও আধাঘণ্টা পিছিয়ে বেলা ১১টা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে কল দিলে ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমানের নম্বরটি ব্যস্ত পাওয়া যায়। ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুর রহমান মজুমদারকে কল দেয়া হলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল ডিএসইতে। ওই দিন সকাল ১০টা ৫৮ মিনিট থেকে বন্ধ হয়ে যায় লেনদেন, যা ২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এরপর আবারও লেনদেন শুরু হয় দুপুর ২টা ১০ মিনিটে, যা চলে ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। ওই দিন পোস্ট ক্লোজিং সেশন কমিয়ে ৫ মিনিট বা আড়াইটা পর্যন্ত করা হয়েছিল।
লেনদেন বিপর্যয়ের কারণ তদন্তে কমিটি গঠন করে বিএসইসি। সংস্থাটির পরিচালক আবুল হাসানকে টিম লিডার ও সহকারী পরিচালক দস্তগীর হোসেনকে সদস্যসচিব করে পাঁচজনের একটি দলকে দেয়া হয় দায়িত্ব। ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল, তবে তদন্তের মধ্যেই আবারও লেনদেন বন্ধ হলো।