বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তালিকাভুক্তির পর দর পড়ে যাওয়া আমান কটন কমাল লভ্যাংশ

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ২০:১৪

২০১৮ সালে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪০ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ শতাংশ ছাড়ে ৩৬ টাকায় শেয়ার বিক্রি করে। পড়তে পড়তে দাম এখন ২৬ টাকা ৩০ পয়সায় নেমেছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবার কোম্পানিটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন আয় করেছে।

বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারদর যত নির্ধারিত হয়েছিল, তার চেয়ে দর কমে যাওয়া বস্ত্র খাতের আমান কটন ফাইবার্সের আয় কমে যাওয়ার পর লভ্যাংশও কিছুটা কমানো হয়েছে।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ বা শেয়ার এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গত বছর লভ্যাংশ ছিল ১১ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১০ পয়সা।

কোম্পানিটির এবার শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।

২০১৮ সালে তালিকাভুক্তির পর এটি কোম্পানির দ্বিতীয় সর্বনিম্ন আয়। তালিকাভুক্তির বছরে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ২২ পয়সা আয় দেখানো কোম্পানিটির আয় পরের বছর নেমে আসে ২ টাকা ১১ পয়সায়।

২০২০ সালে শেয়ার প্রতি ৪৮ পয়সা আয় গত পাঁচ বছরে তাদের সর্বনিম্ন আয়। ওই বছরেও তারা এবারের মতোই শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।

তবে কোম্পানিটির এবার আয় কমে যেতে পারে, সেটি তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ধারণা ছিল না। গত মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের নয় মাসে শেয়ার প্রতি ৯৯ পয়সা আয় দেখানো কোম্পানিটি শেষ প্রান্তিক এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত লোকসান দিয়েছে ২৩ পয়সা।

২০১৮ সালে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪০ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ শতাংশ ছাড়ে ৩৬ টাকায় শেয়ার বিক্রি করে।

তবে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হলে প্রথম কয়েকদিন দাম বাড়লেও ২০২১ সালের এপ্রিলের শুরুতে ২২ টাকায় নেমে আসে। এর পরের তিন মাসে টাকা বেড়ে জুলাইয়ের ‍শুরুতে দাম ৫২ টাকা ৪০ পয়সায় উঠে যায়। সেখান থেকে পড়তে পড়তে দাম এখন ২৬ টাকা ৩০ পয়সায় নেমেছে।

অর্থাৎ পুঁজিবাজারে যে দরে তালিকাভুক্ত হয়েছে, সেখান থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের লোকসান শেয়ার প্রতি প্রায় ১৪ টাকা আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লোকসান প্রায় ১০ টাকা।

আয় কমলেও কোম্পানিটির সম্পদমূল্য কিছুটা বেড়েছে। গত জুন শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানিটির সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ১৪ পয়সার। এক বছর আগে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে তাদের সম্পদ ছিল ৩৪ টাকা ৭২ পয়সার।

যারা এবারের লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ১৭ নভেম্বর শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর।

এ বিভাগের আরো খবর