পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর হতাশ করেই চলা মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আরও একটি হতাশার প্রান্তিক শেষ করল।
চলতি বছর মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান দেয়ার পর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটি মুনাফায় ফিরলেও শেয়ার প্রতি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে গেছে।
এই তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমে অর্ধেক হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩২ পয়সা। অর্থাৎ নয় মাসের বিবেচনায় কোম্পানিটির আয় কমে এক তৃতীয়াংশ হয়ে গেছে।
কোম্পানিটি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৮ পয়সা মুনাফা করার পর দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ পয়সা লোকসান দিয়েছিল।
২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটিকে নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে উচ্ছ্বাস দেখানো হলেও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১০ টাকা অভিহিত মূল্যে তালিকাভুক্তি হওয়ার পর টাকা ১৪ কর্মদিবস বেড়ে শেয়ারদর এক পর্যায়ে ৭৮ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রথম বছরেই লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি শেয়ার প্রতি আয়ের দিক দিয়েও হতাশ করে কোম্পানিটি।
সে বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় দেখায় ৩৩ পয়সা। পরের বছর তা এক পয়সা বেড়ে ৩৪ পয়সা হয়। আর বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারাতে থাকার পর শেয়ারদর ক্রমেই নামতে থাকে। গত জুলাইয়ের শেষে শেয়ারদর এক পর্যায়ে ২৮ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে আসে।
পরে কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ৩০ টাকা নির্ধারিত হয়। আর ৩১ জুলাই থেকে কেবল এক দিন এই দরের চেয় ৩০ পয়সা বেশিতে শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস ৩০ পয়সাতেও ৫ হাজার ২৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ারের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
গত এক মাসে একবারই গত ৬ অক্টোবর এক লাখ ৪ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল কোম্পানিটির। সবশেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ৪ হাজার ৭২৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। যদিও প্রতিদিন লাখ লাখ শেয়ারের বিক্রেতা থাকে।