পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক ঝাঁক কোম্পানি গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগই নগদে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কেউ কেউ নগদের পাশাপাশি বোনাস শেয়ার দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নেয়, যেগুলো রোববার পুঁজিবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। এই লভ্যাংশের ঘোষণার কারণে সেদিন এসব কোম্পানির কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।
জ্বালানি খাত
ইউনাইটেড পাওয়ার
কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
সর্বশেষ বছরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ১৭ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছর সমন্বিতভাবে আয় ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সা।
এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ নভেম্বর। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৭ ডিসেম্বর।
শাহজিবাজার পাওয়ার
এই কোম্পানি ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৬ শতাংশ নগদ বা শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬০ পয়সা এবং ৪ শতাংশ বোনাস বা প্রতি ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে ৪টি শেয়ার দেবে।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা। আগের বছর এটি ছিল ৬ টাকা ২৮ পয়সা।
বারাকা পাওয়ার
একই খাতের এই কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দেবে। তাদের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩ টাকা ১৭ পয়সা।
এনার্জিপ্যাক
এই কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি এক টাকা বা ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানিটির এবার শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩৮ পয়সা যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা।
জিবিবি পাওয়ার
কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১ পয়সা আয় করে ৩০ পয়সা বা ৩ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৪৯ পয়সা। তখন তারা সাড়ে ১১ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
নগদের সঙ্গে বোনাস প্রকৌশলের আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
বিনিয়োগকারীদের ১০০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে কোম্পানি। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ বা শেয়ার প্রতি ২ টাকা দেয়া হবে, পাশাপাশি ৮০ শতাংশ বা প্রতি ১০টি শেয়ারে ৮টি দেয়া হবে বোনাস।
সর্বশেষ অর্থবছরে ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৫৪ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৯২ পয়সা। সেই হিসাবে আয় বেড়েছে ৭ টাকা ৬২ পয়সা বা ১৯৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ হয়েছে ১৬ নভেম্বর। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে এজিএম হবে ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি।
বিএসআরএম লিমিটেড
প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তাদের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৮ টাকা ৯৬ পয়সা।
বিএসআরএম স্টিলস
প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৭২ পয়সা। আগের বছর এটি ছিল ৮ টাকা ১০ পয়সা।
আরএফএল
এই কোম্পানিটি এবারও আগের বহু বছরের মতোই ২৩ শতাাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানিটির আয়েও কোনো হেরফের নেই বললেই চলে। এবার শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৮১ পয়সা, যা এক বছর আগে একই সময় ছিল ৩ টাকা ৬৮ পয়সা।
মুন্নু অ্যাগ্রো
শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫৯ পয়সা আয় করে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৫ পয়সা।
ইফাদ অটোজ
এই কোম্পামিটি লভ্যাংশ দেবে ১০ শতাংশ। এর অর্ধেক অর্থাৎ ৫ শতাংশ নগদ এবং বাকি ৫ শতাংশ বোনাস।
ইফাদের আয় এবার কমে গেছে। শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬৪ পয়সা যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ১৮ পয়সা।
কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ
এই কোম্পানিটি লভ্যাংশ দেবে ৮ শতাংশ। এর মধ্যে ৪ শতাংশ নগদ এবং বাকি ৪ শতাংশ বোনাস।
কোম্পানিটির এবার শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ২ পয়সা।
এসআলম স্টিলস
আয় কমে যাওয়ার পর কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৭ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৮৮ পয়সা।
বেঙ্গল উইন্ডসর
এই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা বা ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫২ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৫০ পয়সা।
অলিস্পিক একসেসোরিজ
লোকসানে থেকেও আগের বছর লভ্যাংশ দেয়া এই কোম্পানিটি এবার আর সে পথে হাঁটছে না। লোকসান অনেকটাই কমলেও এবার তারা লভ্যাংশ দেবে না।
এবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩৩ পয়সা। তবে সে বছর ১ শতাংশ নগদ বা ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল।
বেক্সিমকো গ্রুপ
বেক্সিমকো লিমিটেড
গ্রুপের প্রধান কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ আয় করেও লভ্যাংশ কমিয়েছে। বিনিয়োগকারীদেরকে তারা ৩০ শতাংশ নগদ বা শেয়ার প্রতি তিন টাকা দেবে। আগের বছর লভ্যাংশ ছিল ৩৫ শতাংশ।
কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৭ টাকা ৫৩ পয়সা।
বেক্সিমকো ফার্মা
এই কোম্পানিটিরও আয় বেড়েছে। তারা ৩৫ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি সাড়ে তিন টাকা দেবে।
কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৫৭ পয়সা। আগের বছরে ছিল ১১ টাকা ০৮ পয়সা।
শাইনপুকুর সিরামিকস
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এবার ৩ শতাংশ নগদ বা শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর অনেকটা বাড়ার পর দেখা যায় আয়ে আহামরি কোনো উন্নতি হয়নি। এবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩২ পয়সা।
বস্ত্র খাত
এইচআর টেক্সটাইল
এই কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ বা শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা এবং ১০ শতাংশ বোনাস বা প্রতি ১০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার দেবে।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৭৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৭৫ পয়সা।
রাইট শেয়ার ইস্যুরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। ১:১ অনুপাতে অর্থাৎ বিদ্যমান একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার ইস্যু করবে। এ জন্য কোম্পানি ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ নেবে ২০ টাকা।
হা ওয়েল টেক্সটাইল (বিডি)
এই কোম্পানিটি ২৫ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি আড়াই টাকা লভ্যাংশ দেবে। তাদের ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৫৪ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩ টাকা ১ পয়সা।
সায়হাম কটন
কোম্পানিটি ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এদের এবার শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৭ পয়সা, যা আগের বছর ছিল কেবল ৩৬ পয়সা।
এমএল ডায়িং
কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ হিসেবে ১০ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দেবে। তাদের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৩ পয়সা যা আগের বছর ছিল ৬২ পয়সা।
প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল
এই কোম্পানিটিও বিনিয়োগকারীদেরকে ১০ শতাংশ নগদ বা শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দেবে। তাদের ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৬৭ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৬ পয়সা।
শাশা ডেনিমস
এই কোম্পানিটিও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ১ টাকা ২ পয়সা।
ম্যাকসন্স স্পিনিং
এই কোম্পানিটিও বিনিয়োগকারীদেরকে ১০ শতাংশ নগদ বা শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দেবে। তাদের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৭ পয়সা।
মেট্রো স্পিনিং
এই কোম্পানিটি ৮ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৫ শতাংশ বোনাস। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৩৮ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৯৯ পয়সা।
সিমটেক্স
কোম্পানিটি ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ৮০ পয়সা দেবে। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৭ পয়সা। আগের বছর শেয়ার ইপিএস হয়েছিল ৯২ পয়সা।
তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ
এই কোম্পানিটি দেবে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ৩ শতাংশ নগদে, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা এবং ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া হবে।
কোম্পানিটির আয় অনেকটাই বেড়েছে। এবার শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬১ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৬৩ পয়সা।
হামিদ ফেব্রিকস
এই কোম্পানিটির ৫ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। তাদের ইপিএস হয়েছে ৬৭ পয়সা। আগের বছর এটি ছিল ১ টাকা ৭৬ পয়সা।
ভিএসএফ থ্রেড
এই কোম্পানিটি ৫ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে ৫ টি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল দেড় টাকা।
সাফকো স্পিনিং
কোম্পানিটি ৩ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ২ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা এবং ১ শতাংশ বোনাস বা ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি করে শেয়ার দেবে বিনিয়োগকারীদের।
কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের বছর এটি ছিল ২৩ পয়সা।
আলহাজ্ব টেক্সটাইলি
এই কোম্পানিটিও লভ্যাংশ দেবে ৩ শতাংশ, যার পুরোটাই নগদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবে ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৬ পয়সা।
সোনারগাঁও টেক্সটাইলস
এই কোম্পানিটি ১ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। তাদের ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল শেয়ার প্রতি ১৩ টাকা ৩৫ পয়সা।
প্যাসিফিক ডেনিমস
এই কোম্পানিটিও ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তাদের ইপিএস হয়েছে ১৯ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২২ পয়সা।
জেনারেশন নেক্সট
কোম্পানিটি আগের বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদেরর ইপিএস হয়েছে ১ পয়সা। আগের বছরও আয় ছিল এবারের সমান।
জাহিনটেক্স লিমিটেড
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ১১ পয়সা লোকসান করার কথা জানিয়ে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছরও ৩ টাকা ১ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
ওষুধ ও রসায়ন খাত
ওয়াটা কেমিক্যালস
কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ আর উদ্যোক্তা পরিআালকদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৬ টাকা ১৪ পয়সা।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস
শেয়ারহোল্ডারদের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ২ টাকা ৫২ পয়সা।
সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস
এই কোম্পানিটি ৩ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দেবে ৩০ পয়সা লভ্যাংশ। তাদের ইপিএস হয়েছে ৭৫ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৮৮ পয়সা।
অ্যাডভেন্ট ফার্মা
শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে কোম্পানি। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ২২ পয়সা।
ফার কেমিক্যাল
শেয়ার প্রতি ৩৯ পয়সা লোকসান করার কথা জানিয়ে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধন্ত নিয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ১৬ পয়সা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ
কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৪৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৩ পয়সা। আগের বছর এটি ছিল ১০ টাকা ১৯ পয়সা।
এএমসিএল প্রাণ
আগের এক দশকের ধারাবাহিকতায় এই কোম্পানিটি এবারও ৩২ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ৬২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫ টাকা ৩৭ পয়সা।
ন্যাশনাল টি
এই কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ৭৫ পয়সা দেবে। সর্বশেষ বছরে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৪ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল শেয়ারে ৩১ টাকা ৬৮ পয়সা।
ফাইন ফুডস
কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। অর্থাৎ বিনিয়াগকারীরা প্রতি শেয়ারের বিপরীতে পাবেন ১৫ পয়সা করে।
কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ পয়সা। আগের বছর শেয়ারপ্রতি ১১ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
তথ্য প্রযু্ক্তি খাত
জেনেক্স ইনফোসিস
কোম্পানিটি ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১১ শতাংশ নগদ এবং ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি নগদে পাবেন ১ টাকা ১০ পয়সা আর প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে তাদেরকে দুটি করে শেয়ার দেয়া হবে।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৩৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৯৩ পয়সা।
বিডিকম অনলাইন
এই কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৫ পয়সা।
আইএসএন
মুনাফায় ফিরে এই কোম্পানিটি এবার ৩ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
বাজে একটি বছর কাটিয়ে মুনাফায় ফেরা কোম্পানিটির গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৯ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ৪৫ পয়সা লোকসান করার পর লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
অন্যান্য
ফরচুন সুজ
কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি এক টাকা এবং প্রতি ২০টি শেয়ার একটি শেয়ার পাবেন।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা।
সাইফ পাওয়ারটেক
এই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তাদের এবার শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা।
মুন্নু সিরামিক
এই কোম্পানিটির আয় কিছুটা বাড়ার পর বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার প্রতি এক টাকা বা ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।
এবার মুন্নুর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৯০ পয়সা।
খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং
লোকসানি এই কোম্পানিটি আগের বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটির এবার শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ১২ পয়সা লোকসান হয়েছিল।