বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গরিবের ভাতা ৬০০ থেকে ৩ হাজার করার সুপারিশ

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:০৮

বাংলাদেশে ৩৫ শতাংশ মানুষ এই সুরক্ষার আওতায় থাকলেও যাদের টাকা দরকার, তাদের কেবল ২০ শতাংশের হাতে যাচ্ছে অর্থ। যারা টাকা পাচ্ছে তাদের সবার পাওয়ার দরকার নেই। গ্রামে সাহায্য গেলেও শহরে সাহায্য দেয়া হচ্ছে না ঠিকমতো।

সামাজিক নিরাপত্তায় যে ভাতা দেয়া হয়, তা মানুষের জীবনধারণের জন্য যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে টাকার পরিমাণ বাড়ানোর তাগিদ এসেছে। বেসরকারি অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সানেম এই অঙ্ক ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করার পরামর্শ দিয়েছে।

সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি অনলাইন সেমিনারে এই পরামর্শ দেন সানেম চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক বজলুল হক খন্দকার।

মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘মানুষের কাছে যাচ্ছে ৬০০ টাকা। কিন্তু যাওয়া দরকার মাসে কমপক্ষে ৩ হাজার টাকার মতো।’

প্রবন্ধে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সমস্যাগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যতে কী করা উচিত, সেটিও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৩৫ শতাংশ মানুষ এই সুরক্ষার আওতায় থাকলেও যাদের টাকা দরকার। তবে যারা টাকা পাচ্ছে তাদের সবার পাওয়ার দরকার নেই। আর যাদের টাকা দরকার, তাদের কেবল ২০ শতাংশের হাতে যাচ্ছে অর্থ। গ্রামে সাহায্য গেলেও শহরে সাহায্য দেয়া হচ্ছে না ঠিকমতো।

সামাজিক সুরক্ষার আওতা ও বাজেট বাড়ানোর পরামর্শও দেন বজলুল হক। বলেন, বর্তমানে ১৫০টি প্রকল্প আছে সামাজিক সুরক্ষায়। এতে জিডিপির ২ দশমিক ৫০ থেকে ৩ শতাংশ ব্যায় হয়। কিন্তু সেখান থেকে যদি সরকারি কর্মীদের পেনশন বাদ দেয়া হয়, তাহলে সেটি দাঁড়ায় জিডিপির ১ দশমিক ৫০ থেকে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ।

বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনার পরামর্শ দিয়ে সানেক প্রধান বলেন, সরকারি পেনশন বাদ দিয়ে হিসাব করলে সামাজিক সুরক্ষার টাকার ৪১ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে বৃদ্ধদের পিছনে। দেশের ৫৬ শতাংশ যুবক হলেও মাত্র ২৮ শতাংশ টাকা সেখানে যাচ্ছে। দরিদ্রদের কাছে টাকা গেলেও নিম্ন মধ্যবিত্তদের কাছে যা যাচ্ছে না, কিন্তু তাদেরও দরকার।

নগদ টাকা আর পণ্য সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক বিমার আওতা বাড়ানোর তাগিদও দেন বজলুর। বলেন, প্রায় দেশের ৫৫ থেকে ৬৫ শতাংশ মানুষকে এর আওতায় আনতে হবে। এর দায়দায়িত্ব নিতে হবে বেসরকারিভাবে।

এ বিভাগের আরো খবর