বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিলাস দ্রব্যের তালিকা থেকে গাড়িকে বাদ দেয়ার দাবি

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:৫৮

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গাড়ি এই যুগে বিলাস দ্রব্য নয়, নিত্য প্রয়োজনী উপাদান। করোনা মহামারিকালীন ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের কারণেই দেশজুড়ে পণ্যের সাপ্লাই চেইন স্বাভাবিক ছিল। তাই এসব বিবেচনায় গাড়িকে বিলাস পণ্যের আওতার বাইরে রাখতে হবে।

গাড়িকে বিলাস দ্রব্যের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির বাস্তবতায় গাড়ি এখন মানুষের প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। ডলার সংকটের কারণে এটি নিরুৎসাহিত করার সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে আয়োজিত অটোমোবাইল বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় তারা বলছেন, বিলাস দ্রব্যের তালিকায় রাখায় শতভাগ মার্জিন দিয়েও আমদানির এলসি খোলা যাচ্ছে না। আমদানি হতে না পারায় গাড়ির দাম বেড়ে যাবে।

সড়কপথে পণ্য পরিবহনে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান আমদানির বিকল্প নেই উল্লেখ করে তারা বলেন, করোনা মহামারিকালীন ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের কারণেই দেশজুড়ে পণ্যের সাপ্লাই চেইন স্বাভাবিক ছিল। তাই এসব বিবেচনায় গাড়িকে বিলাস পণ্যের আওতার বাইরে রাখতে হবে।

আলোচনায় বক্তারা বৈদ্যুতিক গাড়ি নিবন্ধন দেয়ার দাবিও জানান। তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে পরিবেশবান্ধব হওয়ায় ইলেকট্রিক গাড়িকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে নানা প্রণোদনা দিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের গাড়ির নিবন্ধন এখন বন্ধ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে এরইমধ্যে একটি বিদেশি কোম্পানি ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। নিবন্ধন সমস্যার সমাধান না হলে এই বিনিয়োগ বিফলে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে।

‘আর একটা বিদেশি বিনিয়োগ ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে অন্য কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান এই খাতে বিনিয়োগ করতে আসবে না। অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়নে এই ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের উন্নয়ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে যারা গাড়ি সংযোজন করছে, ভবিষ্যতে তারাই গাড়ি তৈরি ও রপ্তানি করবে। এজন্য নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করতে হবে।’

মুক্ত আলোচনায় মোটরসাইকেল কেনার আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার নিয়ম বাতিল, দ্রুততম সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া, ইলেকট্রনিক যানের এইচএস কোড নির্দিষ্ট করা, থ্রি-হুইলারের সরকারি নিবন্ধন ও ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নে অটোমোবাইল খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সংযুক্ত করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

এফবিসিসিআইর সহসভাপতি হাবীব উল্লাহ ডন বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকটের কারণে শতভাগ মার্জিন দিয়ে হলেও আমরা সরকারের সঙ্গে থাকছি। তারপরেও বিভিন্ন কাগজপত্রের নামে ব্যাংকগুলো গাড়ি আমদানিতে নিরুৎসাহিত করে।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক বাধা দূর করে বিভিন্ন দেশের মতো অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়নে সরকারি প্রণোদনার দাবিও করেন তিনি। সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে শুল্ক মওকুফ করে নিবন্ধন সহজ করার অনুরোধ করেন।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘শতভাগ এলসি মার্জিনে আমাদের কোনো সমস্যা ছিল না, কিন্তু পুঁজি বিনিয়োগ ও তারল্য ঘাটতির কারণে প্রণোদনা প্যাকেজ জরুরি।’

এ বিভাগের আরো খবর