শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক এই সমস্যা সম্মিলিতভাবে সমাধান করা আবশ্যক। ব্যবসায়ীদের সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামীতে অগ্রাধিকার দিয়ে শিল্পের প্রসারে কাজ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কার্যালয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিকল্পিত এলাকায় শিল্প-কারখানা স্থাপন করলে এককভাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহে সুবিধা পাওয়া যেত। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে যত্রতত্র শিল্প-কারখানা স্থাপন কারায় এই সুবিধা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গাজীপুর-আশুলিয়া-নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের চাপ কম হওয়ার সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে। ক্যাপটিভ পাওয়ারে ভাগ ও শিল্পে ১৮ ভাগ গ্যাস দেয়া হচ্ছে। ব্লান্ডেড গ্যাসের মূল্য ২৮ টাকা ৪২ পয়সা প্রতি ঘনমিটার। অথচ গড় বিক্রি মূল্য ১১ টাকা ৯১ পয়সা। শিল্পের প্রসারের জন্যই কম মূল্যে গ্যাস বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান উদ্বেগ দ্রুত লাঘব করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতি আমাদের পরিকল্পনামতো এগুতে দেয়নি। শিল্প-কারখানায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়াতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ব্যবসায়ীদের সমস্যা যথাযথভাবে চিহ্নিত করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমান সমস্যা বৈশ্বিক। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে হলেও আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ চাই। কর কাঠামো পুনর্গঠন করলে মূল্য সমন্বয় সহনীয় থাকবে।’
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমই, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক সমিতি, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্টিল মিলস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেপার মিলস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইকনোমিক জোন ইনভেস্টরস এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ স্মল অ্যান্ড ক্যাপটিভ পাওয়ার প্রডিউসার্স এসোসিয়েশন-এর সভাপতি ও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।