চিকিৎসক জাহাঙ্গীর কবিরের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আল্টিমেট অর্গানিক লাইফকে তিন লাখ ৫০ হাজার এবং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন-মোশন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার এক অভিযানে এ জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আল্টিমেট অর্গানিক লাইফ ই-কমার্স সাইট। আর ইন-মোশন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। যাদের আমদানিকৃত পণ্য জাহাঙ্গীর কবির বিক্রি করেন। ইন-মোশনের পণ্যের গায়ে ঠিকানা না থাকায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীর কবিরের গোডাউনে ‘অর্গানিকো কেয়ার’ নামে একটি ব্রান্ডের ঘি প্যাকেজিং হচ্ছিল। বোতলের গায়ে ঘি উৎপাদন, বাজারজাত ও মোড়কজাতের ঠিকানা দেয়া আছে, গাছা, জয়দেবপুর, গাজীপুরে। তবে পণ্যটি প্যাকেজিং হচ্ছে রাজধানীর আফতাবনগরে, যা আইনত দণ্ডনীয়। যেহেতু গোডাউনটি জাহাঙ্গীর কবিরের, সেহেতু জরিমানা জাহাঙ্গীর কবিরকেই করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মূলত অর্গানিকো কেয়ার ঘিয়ের প্যাকেজিং স্থান ঠিক না থাকায় জরিমানা করা হয়েছে। আর যেহেতু জাহাঙ্গীর কবিরের প্রতিষ্ঠান আল্টিমেট অর্গানিক লাইফের নিজস্ব গোডাউনে প্যাকেজিং হচ্ছিল, তাই জরিমানাটা তার প্রতিষ্ঠানকেই করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা উনার গোডাউনে অভিযান চালিয়েছি, উনার চেম্বারে না। অভিযান পরিচালনার সময় আমরা প্যাকেজিং সমস্যা পেয়েছি। আরেকটা হলো যে ড্রামে করে ঘি নিয়ে আসা হয়, সে ড্রামে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করা ছিল না।’
নিজের নাম জড়ানোয় ক্ষুব্ধ জাহাঙ্গীর কবিরএ জরিমানায় নিজের নাম জড়ানোকে ইচ্ছাকৃত বলছেন জাহাঙ্গীর কবির। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে আমার নাম কেন জড়ানো হলো? এই অর্গানিকো কেয়ার তো আমার প্রতিষ্ঠান না। আমার প্রতিষ্ঠান আল্টিমেট অর্গানিক লাইফ। তাহলে আর ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এখানে আমার চেম্বারে আসেনি। তারা গিয়েছিল একটা গোডাউনে।’
অন্য কোম্পানির পণ্য এখানে প্যাকেজিং করছেন কেন- এই প্রশ্নে তিনি, ‘গাজীপুরের রাস্তা অনেক ভাঙা থাকায় সেখান থেকে এই ঘি নিয়ে আসতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। তাই কোম্পানিটি আমাকে অনুরোধ করে ঢাকায় প্যাকেজিং করতে শুরু করে।’
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘প্যাকেজিংয়ের কারণে জরিমানা করা হয়েছে এটা আমি মেনে নিয়েছি। এটা আইনেই সিদ্ধ। তবে আমার নাম জড়িয়ে যেভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে এটা ঠিক হচ্ছে না।’
এর পেছনে ইন্ধন দেখছেন জাহাঙ্গীর কবির। তিনি বলেন, ‘আফতাবনগরের এই চিপা একটা জায়গায় ভোক্তা অধিদপ্তরের আসার কথা না। তারা কীভাবে এই জায়গার খোঁজ পেল, এটা চিন্তা করলেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায় সব।
‘এখানে বিভিন্ন মহল ইন্ধন দিয়েছে। না হলে এই ছোট একটা বিষয়ে ভোক্তা অধিকার এখানে আসতো না। যদিও পণ্যের মান নিয়ে কোনো অভিযোগ করেনি ভোক্তার কর্মকর্তারা।’