দেশের কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান যাতে ইউনিলিভারের পণ্য দেশে আমদানি ও বাজারজাত করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির করা রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এর ফলে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভারের পণ্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আমদানির ক্ষেত্রে আইনগত বাধা দূর হলো।
বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেয়। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।
সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে এখন থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের একচেটিয়া ব্যবসার কর্তৃত্ব খর্ব হলো। এ রায়ে এসব পণ্যের ওপর প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে।’
ব্যারিস্টার মাইনুল হাসান বলেন, ‘রিটকারী প্রতিষ্ঠান আশঙ্কা করেছিল যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এসব প্রসাধনী পণ্য আমদানির সুযোগে ভেজাল পণ্য বাজারজাত করতে পারে, যাতে জনগণের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে, কিন্তু আমরা বলেছি এসব আশঙ্কা দূর করার জন্য সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই এসব পণ্য বাজারজাত করার অনুমতি দিয়ে থাকে।’
ব্র্যান্ডেড পণ্য বাংলাদেশে যাতে আর কোনো প্রতিষ্ঠান আমদানি ও বাজারজাত করতে না পারে, সে নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড।
ওই রিটে এনবিআর চেয়ারম্যান, কমিশনার অফ কাস্টমস, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এবং সাতটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে ভ্যাসলিন, নর, ডাভ, পেপসোডেন্ট টুথ ব্রাশ, ক্লোজআপসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডেড পণ্য ও খালি মোড়ক যাতে অন্য কাউকে আমদানি করতে এলসি করার অনুমতি না দেয়া হয়, সে জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই সুযোগ দেওয়া হলে ব্র্যান্ডেড পণ্যের নামে ভেজাল প্রসাধনী বাজারজাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
রুলের পক্ষে ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান শুনানি করেন। সেই রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুলটি জারি করে।