২৮তম ইউএসএ ট্রেড শো শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এই আয়োজনে দেশি-বিদেশি ৪৪ জন উদ্যোক্তার ৭৬টি স্টলে আমেরিকার শতাধিক পণ্য প্রদর্শন করা হবে। প্রদর্শনী শেষ হবে ২৯ অক্টোবর।
মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
১৯৯২ সাল থেকে আয়োজন হয়ে আসা এই প্রদর্শনী বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো বার্ষিক ব্যবসায়িক ইভেন্টগুলোর একটি।
ইউএস চেম্বার অফ কমার্স (অ্যামচ্যাম) ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে।
প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি থাকবেন বৈশ্বিক বাজারের সহকারী বাণিজ্য সচিব এবং ইউএস ও ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিসের মহাপরিচালক অরুণ ভেঙ্কটরামন।
তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের পাশাপাশি পাঁচটি সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিন বিকেল ৩টায় ‘আঞ্চলিক সংযোগের জন্য লজিস্টিকস’ এবং বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ‘মেধা সম্পত্তির অধিকার ও ‘আন্তঃসীমান্ত ব্যবসায় প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় দিন বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে ‘শিক্ষা’ শীর্ষক সেমিনার। একই দিন বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ‘ব্যবসায়িক/বিনিয়োগকারী ভিসা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
শেষ দিন শনিবার বিকেল ৩টায় ‘ইউএসএআইডি : বেসরকারি খাতের বৃদ্ধির জন্য সহায়তা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা এই প্রদর্শনী ও সেমিনার দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রদর্শনীর প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৩০ টাকা। তবে ইউনিফর্ম পরা বা পরিচয়পত্রসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
প্রদর্শনী শেষে এন্ট্রি টিকিটের কুপনের র্যাফেল ড্রয়ের ভিত্তিতে দর্শকদের কাছ থেকে কয়েকজন ভাগ্যবান বিজয়ীর জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস উপস্থিত ছিলেন।
পিটার হাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের এক নম্বর রপ্তানি গন্তব্য। সবশেষ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ২১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। আগামীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র৷’