ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূল অতিক্রমের পর বিপৎসংকেত নামার পর চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেটি থেকে গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেয়া জাহাজগুলো ফেরানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পর চালু হয়েছে পণ্য ও কন্টেইনার ডেলিভারি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানান বন্দর সচিব ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখানোর পর থেকে খালাস বন্ধ ছিল। জাহাজগুলোও জেটি থেকে গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ঝড় কেটে গেলে বিপৎসংকেত নামিয়ে ফেলার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। জাহাজগুলো গভীর সমুদ্র থেকে জেটিতে আনা হয়েছে। দুপুর নাগাদ পণ্য খালাস ও কন্টেইনার ডেলিভারিও শুরু হয়।’
সোমবার সকাল ১০টা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। এই সময়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ এখনও হিসাব করা হয়নি বলে জানান বন্দর সচিব।
সারা দেশে নৌযান চালু
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেশের উপকূল অতিক্রমের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সারা দেশের সব নৌপথে নৌযান চালু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে নৌযান চলাচলে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে নৌ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।’
যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী সব ধরনের নৌ চলাচলে আর বাধা নেই বলেও নিশ্চিত করেছেন এই কর্মকর্তা।
এর আগে সোমবার দেশের উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয় বিআইডব্লিউটিএ নিয়ন্ত্রণাধীন সব ধরনের যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী নৌযান।