ওয়ান ব্যাংক থেকে ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ১১ আসামিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
ওয়ান ব্যাংক গুলশান-১ এর প্রিন্সিপাল অফিসার এমরান হোসেনের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। পরে তার জামিন আবেদনটি মুলতবি করে দেয় আদালত।
এর আগে ৩ জানুয়ারি এমরান হোসেনের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে পুলিশে দিয়েছিল একই আদালত। এরপর এই মামলায় ১০ মাস পর ফের জামিন চেয়ে আবেদন করেন এমরান হোসেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাহফুজ বিন ইউসুফ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী মাহফুজ বিন ইউসুফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই ৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠায়। বিগত ১০ মাসেও তার জামিন না হওয়ায় ফের আমরা জামিন আবেদন করি। আদালত শুনানি নিয়ে এমরানের জামিন আবেদনটি ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি রাখেন।’
ওয়ান ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। মামলায় ব্যাংকটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আদিলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও আসামিদের ব্যাংক হিসাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- ওয়ান ব্যাংকের গুলশান-১ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ এমরান হোসেন, ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউল আলম, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বিমলেন্দু চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড রিলেশনশিপ ম্যানেজার মুনতাসির রহমান সিদ্দিকী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আবু কালাম মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ওরফে একেএম সাখাওয়াত হোসেন ও জুনিয়র অফিসার মো. শামিম। এছাড়া ব্যাংকের ওই শাখার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিরা হলেন- আজিজুর রহমান, রাকিবা জাহান, তানভীর হোসেন, পেশোয়ারা বেগম ও সুবুতারা হাওলাদার।