বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিনি-সংকটের নেপথ্যে গ্যাস-সংকট?

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ২০:৩৫

বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও দেশবন্ধু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমান বলেন, ‘চিনি নেই এমনটা বলা যাবে না, অপরিশোধিত চিনি আছে। আমরা পরিশোধনের পর প্রয়োজনমতো চিনি সরবরাহের চেষ্টাও করে যাচ্ছি। তবে গ্যাস-সংকটের কারণে চিনির কয়েকটি কারখানা পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। এ জন্য বাজারে প্রভাব পড়েছে। তাই নিরবচ্ছিন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে চিনির সংকট কাটবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশে চিনির যে চাহিদা, তার চেয়ে বেশি আমদানি হচ্ছে। তবে বাজারে সংকটের বিষয়টি স্পষ্ট। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম এই অবস্থায় দাম দিয়েছে লাফ। সরকার যে দর বেঁধে দিয়েছে, সে দরে মিলছে না খাদ্যে মিষ্টিভাব আনা উপকরণটি। তার তাতে ভোক্তাদের মেজাজ হয়েছে তিরিক্ষি।

আমদানি পর্যাপ্ত, অস্বীকার করছেন না উৎপাদক ও পরিবেশকরাও। এমনও বলছেন, কারখানাগুলোতে আগামী তিন মাস চলার মতো মজুত আছে।

তাহলে সংকটটা আসলে কোথায়?

এই প্রশ্নে জবাব এলো, যে চিনি দেশের বাইরে থেকে আসে, তার প্রায় পুরোটাই বাজারে ছাড়ার আগে পরিশোধন করতে হয়। আর এই পরিশোধন প্রক্রিয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে গ্যাস-সংকটে। ফলে বাজারে চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

সরকারের তরফ থেকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে চিনির সংকট কেটে যাবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন কারখানা মালিকরা।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভায় এই বিষয়গুলো উঠে আসে।

অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও পেট্রোবাংলার প্রতিনিধি, চিনির মিলমালিকদের প্রতিনিধি, পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও দেশবন্ধু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমান বলেন, ‘চিনি নেই এমনটা বলা যাবে না, অপরিশোধিত চিনি আছে। আমরা পরিশোধনের পর প্রয়োজনমতো চিনি সরবরাহের চেষ্টাও করে যাচ্ছি। তবে গ্যাস সংকটের কারণে চিনির কয়েকটি কারখানা পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। এ জন্য বাজারে প্রভাব পড়েছে। তাই নিরবচ্ছিন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে চিনির সংকট কাটবে।’

সেই সঙ্গে চিনির বিদ্যমান শুল্ককাঠামো সংস্কার ও ডলারের স্থিতিশীল দরে ঋণপত্র খোলার বিষয়টিতেও জোর দিলেন তিনি।

চিনি বাজারজাতকারী কোম্পানি সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘আমাকেও যে এক কেজি চিনি কিনতে হচ্ছে, তাতে ৩০ টাকার ওপরে শুল্ক দিতে হচ্ছে। যেহেতু বিশ্ববাজারে এখন পণ্যমূল্য বেশি, সেহেতু সরকারের কাছে আমরা শুল্ক হ্রাসের আবেদন জানাচ্ছি।’

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘সরকার শুল্ক হ্রাস করলে দাম কমে আসবে, এমন কথা দিতে পারলে অবশ্যই সরকার সেটি বিবেচনা করবে। আমরা সরকারকে সেটা বলব। তার আগে আপনারা যেহেতু বলছেন, চিনির তেমন কোনো সংকট নেই, সেহেতু বাজারে সরবরাহ বাড়ান। আমরা আশা করব, আজ রাত থেকে মিলের ফটকে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকগুলো ভরে বাজারে চিনি পাঠানো শুরু করবেন।’

গ্যাস সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পেট্রোবাংলার সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। তাতে সবাই বিষয়টি অবহিত যে আপনারা গ্যাস কম পাচ্ছেন। গ্যাসের চাপও কম। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ঠিক, কিন্তু সবকিছুর আগে আমাদের ভাবতে হবে যে ভোক্তার কষ্ট হচ্ছে।’

সরকার গত ৬ অক্টোবর খোলা চিনির দাম ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু এই দরে পণ্যটি পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি সুপারশপগুলোতেও দাম বেশি রাখা হচ্ছে। আর দোকানে দরের কোনো ধরাবাঁধা হিসাব নেই। কেউ ১০০ টাকা, কেউ ১০৫, কেউ বা ১১০ টাকা দর রাখছে।

দোকানে স্বাভাবিকের চেয়ে চিনির সরবরাহ কম এটা খালি চোখেই দেখা যায়। কোনো কোনো দোকানে নাইও।

এ বিভাগের আরো খবর