শেয়ারের টানা দরপতনের পর এবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দেখা দিল কারিগরি ত্রুট।
সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু হওয়ার পর দেড় ঘণ্টা যেতে না যেতেই ১০টা ৫৮ মিনিটের পর আর কোনো শেয়ারের লেনদেন হচ্ছিল না। শুরুতে ট্রেডাররা সমস্যা বুঝতে না পারলেও পরে কারিগরি ত্রুটির বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
স্টক এক্সচেঞ্জটির জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে ডিএসইতে সোমবার সকাল ১০টা ৫৮ মিনিট থেকে লেনদেন বন্ধ আছে। স্টক এক্সচেঞ্জ এ বিষয়ে কাজ করছে। লেনদেন কখন শুরু হবে, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না।’
লেনদেনের নির্ধারিত সময়ে বেলা ১টা ৫০ মিনিটের আগে আর লেনদেন চালু করা সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত সময়ের পর লেনদেন চালু হয় ২টা ১০ মিনিটে, শেষ হয় ২টা ৩০ মিনিটে।
তবে টিচাগং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন চলছিল স্বাভাবিক গতিতে।
গত বছরও বেশ কয়েকবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন বন্ধ হয়েছিল কারিগরি ত্রুটিতে। তবে এত দীর্ঘ সময় লেনদেন স্থগিত থাকেনি কখনও।
পতনমুখী পুঁজিবাজার কারিগরি ত্রুটির এই দিন বিনিয়োগকারীদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। ফ্লোর প্রাইসের মাধ্যমে আড়াই শরও বেশি কোম্পানির শেয়ারদর ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। বাকি কোম্পানিগুলোর যেগুলোর দর কমা সম্ভব, তার মধ্যে ১৮টি ছাড়া কমেছে সবগুলোর। সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটি ৮২।
লেনদেন স্থগিতের সময় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে লেনদেন হচ্ছিল।
সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৩১১ পয়েন্ট, যা গত ৪১ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেখান থেকে আরও ৪ পয়েন্ট কমে সূচকের অবস্থান দাঁড়ায় ৬ হাজার ৩০৭ পয়েন্ট।
গত ২৪ আগস্ট সূচক ছিল ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্ট। তবে সে সময় সূচক ছিল ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছিল স্বস্তির আভাস।
গত ৩১ জুলাই থেকে ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর সূচক ক্রমাগত বাড়ছিল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সূচক ৬ হাজার ৬০০ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছিল।
গত আট কর্মদিবসে সূচক পড়ল ১৯২ পয়েন্ট।
এদিন শেষ পর্যন্ত লেনদেন হয় ৩৩৪ কোটি ৭৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।