বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিনির বাজার তদারকি চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৫৮

কেন্দ্রীয় ব্যাং‌ক বলেছে, ‘গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে চিনি আমদানিতে কোনো ঘাটতি নেই। শিগগির আরও এক লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে। একটু তদারকি করলে চিনির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে চিনির বাজার। চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম। দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশি দামেও চিনি মিলছে না। সংকটের কথা ব‌লে সরকারের বেঁধে দেয়া দরের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চি‌নি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি আমদানি হয়েছে। কোনো ঘাটতি নেই।

কেন্দ্রীয় ব্যাং‌কের এক সংবাদ ‌বিজ্ঞ‌প্তি‌তে রোববার বলা হয়, ‘গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে চিনি আমদানিতে কোনো ঘাটতি নেই। শিগগির আরও এক লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে। একটু তদারকি করলে চিনির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে খোলা চিনির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। আর সরকার নির্ধারিত ৯৫ টাকা দরের প্যাকেটজাত চিনি বাজার থেকে উধাও। অনেক ক্ষেত্রে প্যাকেট খুলে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৬ অক্টোবর খোলা চিনি ৯০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। উল্টো সরবরাহ ঘাটতির উল্লেখ করে দাম ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

বাজারে এখন প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। দুদিন আগে বৃহস্পতিবার তা ছিল একশ’ টাকা। সে হিসাবে দুদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আর সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সংস্থাটি সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ১৪৮ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অভিযোগে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানাও করেছে।

একই সঙ্গে মিলগুলোতেও অভিযান চালাচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনার ফ্রেস, মোনায়েম ও রূপগঞ্জে সিটি গ্রুপের চিনির মিলগুলো মনিটরিং করে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকা কার্যালয়ের পরিচালক হাসানুজ্জামান বুলবুল জানান, গত কয়েকদিন ধরে বাজারে চিনি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। এ জন্য দেশব্যাপী চিনির উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মনিটরিং শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘চিনির সংকটের কারণে মিলগুলোতে মনিটরিং করা হচ্ছে। মেঘটনার ফ্রেস মিলে তাদের সাপ্লাই চেইন ঠিক আছে। তবে উৎপাদন কমে গেছে। তাদের প্রতিদিন চিনি উৎপাদনে সক্ষমতা প্রায় ৩ হাজার টন। কিন্তু সেখানে তারা উৎপাদন করতে পেরেছে মাত্র ১ হাজার ৯০০ টন। এটা তাদের উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় অর্ধেক।

‘কারণ হিসেবে গ্যাস সংকটের কথা বলছেন মিলের সংশ্লিষ্টরা। একই অবস্থা অন্য মিলগুলোর। বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগ নিতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মিলগুলোর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি ডেলিভারি (এসও) পর্যায়ে তারা যেন পণ্যের দাম উল্লেখ করে দেয়। তাতে করে ডিলাররা মিলের অজুহাতে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না।

উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার জন্য গ্যাস সংকটকে দায়ী করেছেন মেঘনা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার এম এ বকর। তিনি জানান, এখানে যে চিনি উৎপাদন হচ্ছে তা বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। এখানে কোনো ঘাটতি নাই। উৎপাদন কমে যাওয়ার একমাত্র কারণ গ্যাস সংকট।

তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামে মিল থেকে চিনি বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে চিনির অতিরিক্ত দাম নেয়া হলে সেটি দেখবে ভোক্তা অধিকার।’

বর্তমানে দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ টন, যার সিংহভাগই আমদানি করতে হয়।

বাংলা‌দেশ ব্যাং‌কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ টন চিনি আমদানি করা হয়েছিল। চলতি ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে সাড়ে ১৬ লাখ টন চিনি আমদানি হয়েছে। শিগগির আরও এক লাখ টন চিনি আমদানি হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর