কয়েকদিনের ব্যবধানে চিনির বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনার ফ্রেস, মোনায়েম ও রূপগঞ্জে সিটি গ্রুপের চিনির মিলগুলোতে মনিটরিং শুরু করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে। একইসঙ্গে পাইকারি ও খুচরা বাজারে মনিটরিং চালানো হচ্ছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকা কার্যালয়ের পরিচালক হাসানুজ্জামান বুলবুল জানান, গত কয়েকদিন ধরে বাজারে চিনি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। এ জন্য দেশব্যাপী চিনির উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মনিটরিং শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চিনির সংকটের কারণে মিলগুলোতে মনিটরিং করা হচ্ছে। মেঘটনার ফ্রেস মিলে তাদের সাপ্লাই চেইন ঠিক আছে। তবে উৎপাদন কমে গেছে। তাদের প্রতিদিন চিনি উৎপাদনে সক্ষমতা প্রায় ৩ হাজার টন। কিন্তু সেখানে তারা উৎপাদন করতে পেরেছে মাত্র ১ হাজার ৯০০ টন। এটা তাদের উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় অর্ধেক।
‘কারণ হিসেবে গ্যাস সংকটের কথা বলছেন মিলের সংশ্লিষ্টরা। একই অবস্থা অন্য মিলগুলোর। বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগ নিতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মিলগুলোর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি ডেলিভারি (এসও) পর্যায়ে তারা যেন পণ্যের দাম উল্লেখ করে দেয়। তাতে করে ডিলাররা মিলের অজুহাতে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না।
ভোক্তাদের জন্য সরকার নির্ধারিত দামে খোলা চিনি ৯০ টাকা ও প্যাকেজজাত ৯৫ টাকা যেন বিক্রি করা হয়। এর বাইরে কেউ কারসারি করতে চাইলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার জন্য গ্যাস সংকটকে দায়ী করেছেন মেঘনা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার এম এ বকর। তিনি জানান, এখানে যে চিনি উৎপাদন হচ্ছে তা বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। এখানে কোনো ঘাটতি নাই। উৎপাদন কমে যাওয়ার একমাত্র কারণ গ্যাস সংকট।
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামে মিল থেকে চিনি বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে চিনির অতিরিক্ত দাম নেয়া হলে সেটি দেখবে ভোক্তা অধিকার।’