বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ: বসুন্ধরার কোম্পানিকে বিএসইসির ‘না’

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:১৭

এবিজি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব শাহরিয়ার মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী অনুমোদন দেয়ার সুযোগ নেই বিষয়টি আমাদের আগেই জানানো হয়েছে। তবে নতুন করে কোনো চিঠি পাইনি। যদি নতুন করে চিঠি ইস্যু হয়ে থাকে তাহলে হয়ত কাল-পরশু পেয়ে যাব।’

চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত বিনিয়োগকারী বা ২৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব কেনার মধ্য দিয়ে চালু হতে যাওয়া কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মালিকানা পেলেও নিজস্ব কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না বসুন্ধরার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবিজি লিমিটেডের।

নিজস্ব কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে যে আবেদন করেছিল কোম্পানিটি, তা নাকচ করে দিয়েছে সংস্থাটি।

এবিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিষয়টি জানিয়ে বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। এতে স্বাক্ষর করেছেন সংস্থার একজন অতিরিক্ত পরিচালক।

চলতি বছরের ১৬ মে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য অনুমতি চেয়ে বিএসইসির কাছে আবেদন করে এবিজি লিমিটেড।

এর জবাবে ওই চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, সিকিউরিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর সেকশন ২ (এম) অনুযায়ী বিএসইসি অনুমোদিত স্টক এক্সচেঞ্জ ব্যতীত কোনো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ পরিচালনার অনুমতি প্রদানের সুযোগ নেই। যার কারণে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার আবেদন কমিশনে অনুমোদিত হয়নি।

বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। এখন জানাও সম্ভব নয়। কমিশনার স্যারের হয়ত মনে থাকতে পারে, উনার সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’

বিএসইসি কমিশনার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ শামসুদ্দিন আহমেদকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বিএসইসির সুপারভিশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ মার্কেটস অ্যান্ড ইস্যুয়ার কোম্পানিজ (এসআরএমআইসি) বিভাগের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কথা বলার এখতিয়ার নেই। আমি যখন মুখপাত্র ছিলাম, তখন বলেছি। আপনারা যা জানেন, তা জানেন।’

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে এবিজি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব শাহরিয়ার মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী অনুমোদন দেয়ার সুযোগ নেই বিষয়টি আমাদের আগেই জানানো হয়েছে। তবে নতুন করে কোনো চিঠি পাইনি। যদি নতুন করে চিঠি ইস্যু হয়ে থাকে তাহলে হয়ত কাল-পরশু পেয়ে যাব।’

চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপন করতে যাচ্ছে। গত ১১ অক্টোবর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বিষয়ে খসড়া বিধিমালা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম।

ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া (এমসিএক্স) পরিদর্শনে গেছে সিএসইর একটি দল। গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই সফরে শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে থাকবেন তারা।

কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে সিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় এবিজি লিমিটেড। এর জন্য প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৫ টাকা হিসাবে ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাবে সিএসই।

কৃষিপণ্য, গবাদিপশু, মাছ, বনজসম্পদ, খনিজ ও জ্বালানি পণ্যসহ উৎপাদিত যেকোনো পণ্য কেনাবেচা বা লেনদেনের উদ্দেশে যে এক্সচেঞ্জ বা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে, সেটিই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ নামে পরিচিত।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ অনুযায়ী, উল্লিখিত পণ্যসামগ্রী কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বেচাকেনা হবে।

এই পদ্ধতিতে কেনাবেচাটা হয় কাগুজে বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। মূল পণ্যটি কোনো গুদামে বা মাঠে থাকে। সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর এটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি বা হস্তান্তর হয়।

ধরা যাক, কমোডিটি এক্সচেঞ্জে আলু কেনাবেচা হলো। সরাসরি কৃষক বা হিমাগারের মালিক, যার মালিকানায় পণ্যটি রয়েছে তিনি এই আলু বিক্রি করতে পারবেন। আর কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে যে কেউ এই আলু কিনতে পারবেন।

আইনের মাধ্যমে এই আলু কেনাবেচার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত একটি সময় বেঁধে দেয়া হবে। ওই সময় ক্রয়াদেশটি যার হাতে থাকবে, তাকে বিক্রিত ওই আলু বুঝিয়ে দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর