আট বছর আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি আয় করে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি মতিন স্পিনিং মিলস।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি তাদেরকে দেয়া হবে ৫ টাকা।
এই প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ৭৯ পয়সা। এই আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দেড় গুণেরও বেশি।
ওই বছর শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৩১ পয়সা আয় করে ৪ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। তালিকাভুক্তির পর এতদিন সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ছিল সেটিই।
২০১৪ সালে শেয়ার প্রতি আড়াই টাকা, পরের বছর ২ টাকা ৭০ পয়সা, ২০১৬ সালে দুই টাকা ৩০ পয়সা, পরের বছর দেড় টাকা লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
২০১৮ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭০ পয়সা, পরের বছর দেড় টাকা, ২০২০ সালে ১ টাকা ৮০ পয়সা লভ্যাংশ পেয়েছিল বিনিয়োগকারীরা।
কোম্পানিটির এবার আয় যে আগের বছরের তুলনায় বাড়বে, সেটি প্রান্তিক প্রতিবেদনেই স্পষ্ট ছিল। এর মধ্যে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বব পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে ২ টাকা ৬৮ পয়সা, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে ২ টাকা ৮৬ পয়সা, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ২ টাকা ৪৩ পয়সা এবং এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত শেষ প্রান্তিকে আয় হয়েছে ২ টাকা ৮১ পয়সা।
কোম্পানিটির আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত ৩০ জুন প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৬০ টাকা ৬৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে৫৩ টাকা ৮৪ পয়সার সম্পদ ছিল।
এবার যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ১৩ নভেম্বর শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ৮ ডিসেম্বর।