পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ক্রমাগত দরপতন হতে হতে বেঁধে নেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসে নেমে আসার ঘটনায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তার যে অভিযোগ উঠেছে, তাকে অযাচিত করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান।
নিউজবাংলাকে তিনি জানিয়েছেন, তারা বিনিয়োগ করছেন এবং সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার কেবল তার প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে পাঁচ কোটি টাকা।
কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দোষারোপ করা হচ্ছে দাবি করে ছায়েদুর এ-ও বলেছেন, এই প্রচার পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসের জন্য খারাপ।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা লাভের জন্য বিনিয়োগ করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলি, আমার ডিলার অ্যাকাউন্টেই শুধু আজকে পাঁচ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। এটা কীভাবে দেখবেন? কথায় কথায় বলা হয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নন কো-অপারেশন, যারা বলেন, তাদের কাছে কী তথ্য আছে?’
এ ধরনের প্রচার পুঁজিবাজারের জন্য খারাপ বই ভালো করছে না উল্লেখ করে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বলেন, ‘কল্পনায় আমরা অনেক কিছু বলতে পারি। এটাই মার্কেটে স্পেকিউলেশন হয়। যখন ১০ জন এই কথাটা বাজারে বলবে, তখন কি একজন ইনডিভিজুয়াল মার্কেটে বিনিয়োগ করার সাহস পাবেন? আসলেও কি তাদের কাছে কোনো তথ্য আছে।’
আপনিসহ আরও কয়েকজন হয়তো কিনেছেন কিন্তু অন্যরা?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘একজন বেচেছে বলেই আমি কিনেছি। এটাই বাজারের নিয়ম। এই যে একটা প্রোপাগান্ডা, কারা তৈরি করে জানি না। কিন্তু প্রতিষ্ঠানকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলা হচ্ছে পুঁজিবাজারের।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের একটা টার্গেট আছে, তারা কি টার্গেট অনুযায়ী কাজ করবেন নাকি লোকসান করবেন? অবশ্যই টার্গেট অনুযায়ী কাজ করবেন। আমি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা করতে এসেছি। আমি ৫০০ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে এসেছি, সেটার প্রফিট দেয়ার ক্ষেত্রে, ব্যবসার প্রফিট বা লসের কোনো সম্পর্ক নাই।
‘মার্কেট খারাপ তাই আমার মার্জিন হোল্ডার শেয়ার বিক্রি করতে পারবে না, তাই টাকা দিতে পারবেন না- এটা কি আমি ব্যাংককে বলতে পারব, যার কাছ থেকে লোন নিয়ে এসেছি? তাহলে যারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করে, এটা একটি অপচেষ্টা। এটা কি বাজারের জন্য ভালো?’