বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞার পরও আয় বাড়ল গ্রামীণফোনের

  •    
  • ২০ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৩৫

জুনের শেষ থেকে সিম বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিষেধাজ্ঞার কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রান্তিকের হিসাবে তুলনামূলকভাবে গ্রাহক সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৩.৪ শতাংশ। এ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠতে আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছি। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ নিষেধাজ্ঞার আংশিক প্রত্যাহার করা হয়। যার ফলে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে আবার সিম বিক্রি শুরু করেছি : গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী

সেবার মান সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে সিম বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিষেধাজ্ঞার কারণে বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের গ্রাহক ২৯ লাখ কমলেও কোম্পানিটির আয়ে প্রভাব পড়েনি। বরং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি আয় করেছে কোম্পানিটি।

কেবল তিন মাস নয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ মাসে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তাদের আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এই নয় মাসে আয় হয়েছে মোট ১১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা।

তৃতীয় প্রান্তিকের শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৮ লাখ। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থাৎ ৪ কোটি ৫৫ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানিয়েছে গ্রামীণফোন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন ‘বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও শক্তিশালী বাজার কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি উচ্চ রাজস্ব ও সেবা ব্যবহারের কারণে গ্রামীণফোনের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের চাহিদা মেটাতে এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতার উন্নয়নে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং তরঙ্গ ব্যবহারে আমরা আমাদের নেটওয়ার্কে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করেছি। এর ফলে আমাদের ফোরজি সাইট সংখ্যা ১৯ হাজার ১০০ তে উন্নীত হয়েছে।

‘ফলে, আমাদের গ্রাহকরা যোগাযোগের ক্ষেত্রে তাদের পছন্দের পার্টনার হিসেবে গ্রামীণফোনকে বেছে নেয়া অব্যাহত রেখেছেন। গত বছরের থেকে ডেটা ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫২.১ শতাংশ এবং বছরপ্রতি ফোরজি গ্রাহক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫.৯ শতাংশ এবং ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা পৌঁছেছে ৩.২ কোটিতে।’

তিনি বলেন, ‘জুনের শেষ থেকে সিম বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিষেধাজ্ঞার কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রান্তিকের হিসাবে তুলনামূলকভাবে গ্রাহক সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৩.৪ শতাংশ। এ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠতে আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছি। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ নিষেধাজ্ঞার আংশিক প্রত্যাহার করা হয়। যার ফলে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে আবার সিম বিক্রি শুরু করেছি।’

গ্রামীণফোনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার বলেন, ‘ভয়েস, ডেটা ও বান্ডল সেগমেন্টে কারণে টানা ছয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন সামগ্রিক আয়ে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে মোট রাজস্বে ৬.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যার ফলে এ প্রান্তিকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে গ্রাহক ও ট্র্যাফিক রাজস্ব বেড়েছে ৬.৯ শতাংশ। নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি ও তরঙ্গ ব্যবহারে আমাদের বিনিয়োগের কারণে বছরপ্রতি হিসেবে ডেটা ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫২.১ শতাংশ।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ২৭৮ কোটি ১৫ কোটি টাকা নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে ও সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করেছে। এ প্রান্তিক শেষে গ্রামীফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৭১৯। প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে কর, ভ্যাট, শুল্ক, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ বাবদ ৭ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা সরকারি কোষগারে জমা দিয়েছে, যা এর মোট রাজস্বের ৬৯.৫ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর