বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বল্প মূলধনির ব্যাপক পতন, সূচক ঠেকাল ওরিয়ন-বেক্সিমকো

  •    
  • ২০ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:২৯

স্বল্প মূলধনি যে কয়টি কোম্পানির শেয়ারদর এই সময়ে তরতর করে বাড়ছিল, সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো এদিন দরপতনের শীর্ষ তালিকায় চলে এসেছে। এমনকি পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয় ও লভ্যাংশ ঘোষণা করা জেমিনি সি ফুডের দর কমেছে সবচেয়ে বেশি। লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণার কারণে দরপতনের সীমা না থাকার দিন কোম্পানিটির দর কমেছে ১৪ শতাংশের বেশি।

টানা পঞ্চমদিন পতন ঘটতে যাচ্ছে মনে হচ্ছিল যখন, সে সময় হঠাৎ করেই বড় মূলধনি দুই কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মা ও বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর বাড়তে শুরু করল। আর শেষ এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটে সূচকে ৩৭ পয়েন্ট যোগ হয়ে শেষ হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ২ পয়েন্ট বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা আর চাপ কাটেনি এতটুকু। বিশ্ব অর্থনীতিক চাপ নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে চেক নগদায়নের আগ পর্যন্ত শেয়ার কেনা যাবে না বলে নির্দেশনা জারির পর থেকে যে টানা দরপতন ঘটছে, তা থেক বের হতে পারেনি পুঁজিবাজার।

এই নির্দেশনা না পাল্টালে পুঁজিবাজারে চাপ বাড়বে বলে স্টক ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করার বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর থেকে দরপতনের গতি আরও বেড়েছে।

এদিনও বেশিরভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে। ৬১টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৭৬টির আর ২২৬টি কোম্পানি আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে, যেগুলোর আসলে দর কমার আর সুযোগ নেই এই কারণে যে, এগুলো বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে।

তিন কর্মদিবস পর লেনদেন আবার এক হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে, যা গত ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

হাতবদল হয়েছে ৯৭৫ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার শেয়ার। গত ১২ অক্টোবর লেনদেন ছিল ৯৯৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকা।

এর আগে শেষ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল গত ১৪ আগস্ট। সেদিন হাতবদল হয়েছিল ৬৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা। তবে সে সময় পুঁজিবাজার তলানি থেকে উঠে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছিল বলে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হলেও আশাবাদী হয়ে উঠেছিল।

শেষ ঘণ্টায় ওরিয়ন ফার্মা ও বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর বৃদ্ধিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের দরপতন ঠেকানো গেছে

হঠাৎ পুঁজিবাজারে এই দরপতনের পর চেক ইস্যুটি সামনে এসেছে। ১১ অক্টোবর স্টক ব্রোকারদের প্রতি জারি করা বিএসইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়, চেকের টাকা নগদায়নের আগে তা দিয়ে শেয়ার কেনা যাবে না।

এই নির্দেশনার পরই পুঁজিবাজারে লেনদেন কমতে দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। একসময় যে লেনদেন ২ হাজার কোটির ঘরে ও এর কাছাকাছি হতো, সেটি চলে আসে হাজার কোটির ঘরে।

এদিকে চেক নগদায়ন করার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে পুঁজিবাজারে চাপ আরও বাড়বে বলে স্টক ব্রোকাররা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে চিঠি দেয়। সোমবার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারের পরদিনই পুঁজিবাজারে চাপ বাড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এখন পর্যন্ত তাদের অবস্থানে অনড় আছে। সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো আভাস নেই তাদের।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাদের শেয়ারে ফ্লোর প্রাইসে আটকে গেছে, তারা নতুন করে বাজারে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যদি একটা জায়গা থেকে প্রফিট করে আরেক দিকে বিনিয়োগ করেন, সেক্টরাল মুভমেন্ট করান তাহলে ফান্ডগুলো রিলিজ হবে, সবার অংশগ্রহণ বাড়বে। তাহলে একটা ভাইব্র্যান্ট মার্কেট পাবেন। এ জন্য বড়দের এগিয়ে আসতে হবে। ছোটদের বাজার প্রভাবিত করার সক্ষমতা নেই।’

লেনদেনে ভারসাম্য নেই

যে ৬১টি কোম্পানির দর বেড়েছে সেগুলোতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের প্রায় অর্ধেক, ৪৮০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

যে ৭৬টি কোম্পানির দর কমেছে, সেগুলোতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩৯৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।

আগের দেন লেনদেন হওয়া ফ্লোর প্রাইসে থাকা ২২৬টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪৪ কোটি টাকা। এই তালিকায় আছে শক্তিশালী মৌলভিত্তির ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, গ্রামীণ ফোন, স্কয়ার ফার্মা, স্কয়ার টেক্সটাইল, রেনাটা, ব্র্যাক ব্যাংকের মতো কোম্পানি।

এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া কেবল ১০টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে মোট লেনদেনের প্রায় অর্ধেক; ৪৫২ কোটি ২৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

লেনদেনের শীর্ষে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ফ্লোর প্রাইসে থাকা ২২৬টি কোম্পানির লেনদেনের আড়াই গুণ। এই একটি কোম্পানির ১১৬ কোটি ২ লাখ ৭১ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

ঝড় গেছে স্বল্প মূলধনির ওপর

স্বল্প মূলধনি যে কয়টি কোম্পানির শেয়ারদর এই সময়ে তরতর করে বাড়ছিল, সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো এদিন দরপতনের শীর্ষ তালিকায় চলে এসেছে। এমনকি পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয় ও লভ্যাংশ ঘোষণা করা জেমিনি সি ফুডের দর কমেছে সবচেয়ে বেশি।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণার কারণে দরপতনের সীমা না থাকার দিন কোম্পানিটির দর কমেছে ১৪ শতাংশের বেশি।

গত বছর শেয়ার প্রতি ৯৩ পয়সা মুনাফা করা কোম্পানিটি গত ৩০ জুন শেয়ার প্রতি ১২ টাকা ৪৯ টানা মুনাফা করে ১০ শতাংশ নগদ ও ৩০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই লভ্যাংশও পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ।

দিনের শুরুতে কোম্পানির শেয়ারদর লাফ দিলেও পরে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর দর বেঁধে পতনের মধ্যে এটিও দর হারায়। আর মূল্যসীমা না থাকার দিনে দর হারায় সবচেয়ে বেশি।

আগের দিন শেয়ারটির লেনদেন হয়েছিল ৫৯৩ টাকা ৪০ পয়সায়। দিনের শুরুতে দর উঠে যায় ৬৩৮ টাকা ৯০ পয়সায়। তবে দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ৫০৯ টাকা ২০ পয়সা, যদিও এক সময় দর নেমে যায় ৪৯৫ টাকা ১০ পয়সা পর্যন্ত। দিনের সর্বোচ্চ দরে যিনি কিনেছেন, তার শেয়ার প্রতি এক দিনেই নাই হয়ে গেছে ১২৯ টাকা ৭০ পয়সা বা ২০.৩০ শতাংশ।

লভ্যাংশ ঘোষণার আগে লাফাতে থাকা তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের দর ৮.৭৩ শতাংশ, লভ্যাংশ ঘোষণার পর ২২০ টাকা থেকে ১০ কর্মদিবসে ৩৩৯ টাকায় উঠে যাওয়া পেপার প্রসেসিংয়ের দর ৮.৭২ শতাংশ, লভ্যাংশ ঘোষণার আগে এক মাসেরও কম সময়ে ২২০ টাকা থেকে ৩১৫ টাকায় উঠে যাওয়া অ্যাপেক্স ফুডের দর ৮.৬২ শতাংশ কমেছে।

গত কয়েকদিনের বিপরীত অবস্থানে গিয়ে দরপতনের শীর্ষ তালিকায় এদিন স্বল্প মূলধনি কোম্পানির আধিক্য দেখা গেছে

এক মাসেরও কম সময় ২৮৮ টাকা থেকে ৩৯৪ টাকা হয়ে যাওয়া বিডি ল্যাপস ৮.৫২ শতাংশ, গত ২১ সেপ্টেম্বর ১৭৮ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হওয়া মনোস্পুল পেপার এক মাসেরও কম সময়ে ৪৬৩ টাকা ৪০ পয়সায় উঠে যাওয়া ৮.৪৯ শতাংশ, এক মাসেরও কম সময়ে ৩৮১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৫১১ টাকা ৩০ পয়সায় উঠে যাওয়া জেএমআই সিরিঞ্জ ৭.৫০ শতাংশ দর হারিয়েছে।

দরপতনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য দুটি কোম্পানির মূলধনও ১০০ কোটি টাকা কম। এর মধ্যে ৫৭ কোটি টাকা মূলধনের বিডিকমের দর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৮৭ শতাংশ কমেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর শেয়ারদির দর ছিল ৩৩ টাকা। ১২ অক্টোবর এক পর্যায়ে লেনদেন হয় ৭৯ টাকা ৯০ পয়সায়। সেখান থেকে কেবল ৬ কর্মদিবসে নেমে এসেছে ৪৮ টাকা ৩০ পয়সা।

এই তালিকার দশম স্থানে থাকা ৯৩ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের ইস্টার্ন হাউজিং দর হারিয়েছে ৭.০৯ শতাংশ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ৭৬ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর এক পর্যায়ে ১৪৭ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। চার কর্মদিবসে সেখান থেকে নেমে এসেছে ১১৫ টাকা ৪০ পয়সায়।

শীর্ষ দশের বাইরে ইস্টার্ন কেবলসের দর ৬.৭৫ শতাংশ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর ৬.৭৪ শতাংশ, সোনালী আঁশের দর ৫.৮৬ শতাংশ, রহিমা ফুডের দর ৫.৫৯ শতাংশ, মুন্নু অ্যাগ্রোর দর ৫.৫২ শতাংশ, অ্যামবি ফার্মার দর ৪.৬৭ শতাংশ, ওয়াটা কেমিক্যালসের দর ৩.৭৮ শতাংশ, হাক্কানি পাল্প ও আজিজ পাইপসের দর ৩.৭১ শতাংশ, নর্দার্ন জুটের দর ৩.৪৫ শতাংশ, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের দর ৩.২৬ শতাংশ, অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের দর ৩.১০ শতাংশ, এএমসিএল প্রাণের দর ২.৮০ শতাংশ, মুন্নু সিরামিকসের দর ২.৩৩ শতাংশ কমেছে। এসব কোম্পানির বেশিরভাগের দর গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগতভাবে বাড়ছিল।

রক্ষাকর্তা এবার ওরিয়ন-বেক্সিমকো

অস্বাভাবিক উত্থানের পর দরপতনের ধারায় থাকা ওরিয়ন ফার্মা ও বেক্সিমকো লিমিটেড এদিন সূচকের রক্ষাকর্তা হয়ে এসেছে।

তবে দিনের অর্ধেক বেলা পর্যন্ত চিত্রটা এমন ছিল না। আড়াই মাসেরও কম সময়ে ৭৮ টাকা থেকে ১৫৬ টাকা হয়ে যাওয়া ওরিয়ন ফার্মার দর ক্রমেই কমছিল।

আগের দিন দর ছিল ১১৩ টাকা ২০ পয়সা। সূচক যখন কমে গিয়েছিল, তখন এই কোম্পানিটির দর ১০৯ টাকা ৪০ পয়সায়। তবে শেষ ঘণ্টায় উল্টো দৌড় দিয়ে এক পর্যায়ে হয়ে যায় ১২৩ টাকা। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ১২১ টাকা ২০ পয়সা।

এই একটি কোম্পানির কারণেই সূচক বেড়েছে ৮.৪৩ শতাংশ।

টানা পঞ্চম দিন দরপতনের শঙ্কার মধ্যে যে ১০টি কোম্পানি দিন শেষে সূচক কিছুটা বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে

২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ১১৫ টাকা দর থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর কম সময়েই হয়ে যায় ১৪৬ টাকা। সেখান থেকে পড়তে পড়তে বুধবার দাঁড়ায় ১২২ টাকা ২০ পয়সা। এক পর্যায়ে দর আরও কমে ১২০ টাকায় নেমে আসে। তবে সেখান থেকে ৩ টাকা ৪০ পয়সা যোগ হয়ে ১২৩ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন শেষ করে।

এই কোম্পানিটির কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৪.৭৩ পয়েন্ট।

এছাড়া স্বল্প মূলধনি কোম্পানি সোনালী পেপারের দর ৫.৯৯ শতাংশ বাড়ায় ৭.২১ পয়েন্ট, কোহিনূর কেমিক্যালসের দর ৫.৫৯ শতাংশ বাড়ায় ৩.৮৭ পয়েন্ট, সি পার্লের দর ৩.৩৩ শতাংশ বাড়ায় ২.৪৫ পয়েন্ট, এডএন টেলিকমের দর ৭.৯৯ শতাংশ বাড়ায় ২.১ পয়েন্ট, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের দর ৬.৩৩ শতাংশ বাড়ায় ২.০৩ পয়েন্ট, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের দর ০.৮৩ শতাংশ বাড়ায় ১.৯২ পয়েন্ট, ঢাকা ব্যাংকের দর ২.২৭ শতাংশ বাড়ায় ১.৭১ পয়েন্ট এবং ইসলামী ব্যাংকের দর ০.৬১ শতাংশ বাড়ায় ১.৪৫ পয়েন্ট সূচক বেড়েছে।

সব মিলিয়ে কেবল ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৩৫.৯০ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ২৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমেছে জেএমআই সিরিঞ্জেসের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৭ পয়েন্ট।

এ ছাড়াও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বেক্সিমকো ফার্মা, জেমিনি সি ফুড, ইস্টার্ন ক্যাবলস, মনোস্পুল ও রহিমা ফুডের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট।

কোন খাত কেমন

শীর্ষে উঠে এসেছে বিবিধ খাত। হাতবদল হয়েছে ১৮০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ১৯.৫৯ শতাংশ। খাতটিতে ৬টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। আর ৩টি করে কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দর ও দরপতনে।

দুই দিন লেনদেন কমল ওষুধ ও রসায়ন খাতে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাতটিতে লেনদেন হয়েছে ১৭১ কোটি ১০ লাখ টাকা। ১০টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও দরপতন হয়েছে। আর ১১টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।

প্রকৌশল খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৯টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ১৫টির।

চতুর্থ স্থানে থাকা খাদ্য খাতে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ৫টির দরবৃদ্ধি, ৭টির দরপতন ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে ৮টি কোম্পানির।

৫১ কোটি ৬২ লাখ টাকা লেনদেন করে তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে সেবা ও আবাসন খাত। ১টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে। ২টির দরপতন হয়েছে।

বাকি খাতের লেনদেন ছিল পঞ্চাশের নিচে।

দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০

১০ শতাংশ দর বেড়েছে নাভানা ফার্মার। শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৩১ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ২৯ টাকা।

৭.৯৯ শতাংশ দর বেড়েছে এডিএন টেলিকম। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৭ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের দর ছিল ৯০ টাকা ১০ পয়সা।

ইন্দো-বাংলা ফার্মার শেয়ারদর ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ২০ টাকা ৯০ পয়সায়।

এ ছাড়াও দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, সোনালী পেপার, কোহিনূর কেমিক্যাল, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ও লুবরেফ বাংলাদেশ।

এ বিভাগের আরো খবর