তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির আয় যত ছিল, চতুর্থ প্রান্তিকের তিন মাসে তার চেয়ে দেড়গুণ আয় করে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি জেমিনি সি ফুড বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি এক টাকা নগদ এবং ৩০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০টি শেয়ারের বিপরীতে তিনটি বোনাস শেয়ার পাবেন।
বুধবার গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এই ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
এই লভ্যাংশ বিতরণ করলে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির মূলধন ছয় কোটি ১০ লাখ টাকা ছাড়াবে।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রতিটি কোম্পানির মূলধন কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা করতে যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটি পূরণে মূলধন আরও পাঁচ গুণ করতে হবে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা। অথচ তার আগের ৯ মাসে কোম্পানির আয় ছিল ৫ টাকা ১৬ পয়সা। তিন মাসে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ টাকা ৩৩ পয়সা বা ১৪২ শতাংশের বেশি।
২০২২ সালের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ০১ পয়সা, যা এক বছর আগে ছিল কেবল ৯৩ পয়সা।
এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করবে জেমিনি সি ফুড। আর লভ্যাংশ পেতে হলে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে শেয়ার ধারণ করতে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ ওই দিন রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
পাঁচ বছর পরে এমন আয় করল কোম্পানি। এর আগে ২০১৭ সালে কোম্পানি শেয়ার প্রতি ১৩ টাকা ৬ পয়সা আয় করেছিল। এর পরের বছরই কোম্পানির মুনাফায় বিশাল ধস নামে।
২০১৮ সালে ইপিএস দাঁড়ায় ৭০ পয়সায়। পরে বছর ৩৭ পয়সায় নামে। ২০২০ সালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। শেয়ার প্রতি ৯ টাকা ৮৩ পয়সা করে লোকসান গুণতে হয়। গত বছর লোকসান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় জেমিনি সি ফুড। শেয়ার প্রতি আয় হয় ৭২ পয়সা।
২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে লভ্যাংশ দিলেও ২০২০ সালে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানি। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১৫ শতাংশ ও ২০১৭ সালে ১২৫ শতাংশ বোনাস দিয়েছিল। আর ২০২১ সালে ৫ শতাংশ নগদ, ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ৫০ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৫ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানি।