ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উন্নয়নে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। তাতে করে দুই দেশই লাভবান হবে বলে মনে করেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিমউদ্দিন।
রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বুধবার কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) ও ফাউন্ডেশন ফর এমএসএমই ক্লাস্টার (এফএমসি) অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ক্লাস্টার (গুচ্ছ) ভিত্তিক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে এমএমই খাত আরও বিকশিত হবে এবং তাতে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
‘বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ ব্যবসা এসএমইর অন্তর্ভুক্ত। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এ খাতে উন্নয়নের বিকল্প নেই।’
একই সঙ্গে তিনি ব্যাংকগুলোকে এসএমই খাতে ঋণ বিতরণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
‘এক জেলা, এক পণ্য’ শীর্ষক কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে মো. জসিমউদ্দিন বলেন, ‘একেক জেলায় একেক শিল্পের কাঁচামাল সহজলভ্য। ওইসব জেলায় শিল্পভিত্তিক ক্লাস্টার উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ করা আবশ্যক।’
অনুষ্ঠানে দুই দেশের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য বাংলাদেশের এসএমই ফাউন্ডেশন ও ভারতের এফএমসির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি-এমওইউ সইয়ের প্রস্তাব দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান।
ফাউন্ডেশন অফ এমএসএমই ক্লাস্টার অব ইন্ডিয়া-এর সিনিয়র উপদেষ্টা ড. তমাল সরকার ভারতের এমএসএমই উন্নয়নে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের শিল্পের ধরন, বাজার চাহিদা ও সংস্কৃতিতে মিল রয়েছে। তাই ভারতের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য কাজে দেবে।
বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন স্মল ইন্ডান্ট্রি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপক ও এফএমসি ইন্ডিয়ার পরামর্শক সুরেন্দ্র শ্রীবাস্তব এবং সিআইআইর পরিচালক অমিত কুমার।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালকবৃন্দ ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।