বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ভারতসহ এই অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ২৩:৫২

চট্টগ্রামে মতবিনিময় সভায় ভারতের সহকারী হাইকমিশনার রাজীব রঞ্জন বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে দেশটির উত্তরণ কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্টের (সেপা) ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।’

বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ভারতসহ এ অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সহকারী হাইকমিশনার রাজীব রঞ্জন। তিনি বলেছেন, ‘পারস্পরিক সহযোগিতা ও নির্ভরশীলতা উভয় দেশের জন্যই দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা বয়ে আনবে।’

সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ভারতের কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

রাজীব রঞ্জন বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে দেশটির উত্তরণ কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্টের (সেপা) ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।’

বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে কানেক্টিভিটি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে রাজীব রঞ্জন বলেন, ‘সে লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়ার প্রত্যাশা করছি।’

সভাপতির বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক ভারত সফরে সিআইআই’র সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এসএমই এবং এগ্রো প্রোডাক্টস ক্লাস্টার গ্রোথ ত্বরান্বিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতার েওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। চিটাগং চেম্বারে সিআইআই’র সফর ও এই সভা এসএমই এবং এগ্রো প্রোডাক্টস ক্লাস্টার গ্রোথ-এর প্রেক্ষাপটে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে নতুন মাত্রার সম্পর্ক স্থাপন করবে।’

মাহবুবুল আলম ভারতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন এক্সিবিশনে বাংলাদেশের এসএমই শিল্পের জন্য ডেডিকেটেড স্পেস রাখাসহ বেসরকারি খাতে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের জন্য সিআইআই প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানান।

কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক অমিত কুমার বলেন, ‘উভয় দেশের মধ্যে এসএমই খাতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই সফর। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যয় কমানোর সুযোগ তৈরি হবে।’

সভায় চিটাগং চেম্বারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের ব্যবসা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি এবং প্রতিনিধি দলের পক্ষ হতে ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট ও এমএসএমই সার্পোট-এর ওপর দু’টি আলাদা তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।

এদিন সকালে চট্টগ্রামে কালুরঘাটে অবস্থিত বিসিক শিল্প নগরে কয়েকটি এসএমই প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ভারতীয় প্রতিনিধি দল।

অমিত কুমার ছাড়াও ভারতীয় প্রতিনিধি দলের হয়ে উপস্থিত ছিলেন সুরেন্দ্র শ্রীভাস্তাভা ও সিদ্দিক আখতার।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বিডার পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আশিফুল আলম, রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোর্শেদুল হক, উইম্যান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম, ইউনিভার্সাল এগ্রো কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. টিপু সুলতান শিকদার, চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন) প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর