বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইন লঙ্ঘন করে ইফাদ অটোজকে বিএসইসির সুবিধা

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ২১:০৮

আইন অনুযায়ী কোনো কোম্পানি বন্ড ইস্যু করে সেই টাকা আবার তার সহযোগী কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারবে না। তবে বন্ড ইস্যু করে ৩০০ কোটি টাকা তুলে সহযোগী কোম্পানি ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্ট লিমিটেডের শেয়ার কেনার আবেদনে সায় দিয়েছে বিএসইসি।

পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ইফাদ অটোজকে আইন লঙ্ঘন করে বন্ড ইস্যু করে ৩০০ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই টাকায় কোম্পানিটি সহযোগী একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনবে।

সোমবার এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনাতেই বলা হয়েছে, ইফাদ অটোজকে ছাড় দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশন (ডেবট সিকিউরিটিজ) রুলজ ২০২১ এর ৩ ধারার ১ উপধারার আই উপধারায় বলা আছে, কোনো কোম্পানি বন্ড ইস্যু করে সেই টাকা তার সহযোগী কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারবে না।

কিন্তু ইফাদ অটোজ আবেদন করেছিল, তারা ৩০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করে সেই টাকা দিয়ে তাদের সহযোগী কোম্পানি ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্ট লিমিটেডের শেয়ার কিনবে।

আর এই আবেদনে সাড়া দিয়ে বিএসইসি বলে দিয়েছে, এই টাকা দিয়ে শেয়ার কিনার আগে অবশ্যই সেটা জানিয়ে নিতে হবে তাদেরকে।

জানতে চাইলে ইফাদ অটোজের কোম্পানি সচিব সাজ্জাদ হোসনে তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আবেদন করেছিলাম। শুনতে পাচ্ছি আমাদের এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।’

বন্ড ছেড়ে ৩০০ কোটি টাকা হাতে পেয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি ‘না’ বলেন।

আইনে নিষেধ থাকলেও কেন ইফাদকে এই সুবিধা দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জনস্বার্থে এটা দেয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির মুনাফা যদি বাড়ে তাহলে বিনিয়োগকারীরাইতো উপকৃত হবে।’

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর করপোরেট গভর্নেন্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স স্টাডিজের সাবেক চেয়ারম্যান বাকি খলিলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যদি কোনো প্রতিষ্ঠান আগে থেকে জানায় যে টাকাটা তাদের সহযোগী কোম্পানিতে দেবে, তহলে সমস্য কম। কিন্তু তারা যদি না জানিয়ে এই কাজটি করত, তাহলে অনকে সমস্যা ছিল, ফান্ড ডাইভার্শন হওয়ার সুযোগ থাকত।’

২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।

২০১৯ সালে ইফাদ অটোজ ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ১ টাকা।

২০২০ অর্থবছরে মুনাফা হয় ২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দেয়া হয় ৯০ পয়সা ও প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ২টি শেয়ার ।

২০২১ অর্থবছরে মুনাফা হয় ৫৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দেয়া হয় প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ১০ পয়সা।

পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ২৫ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৪১২ টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২৮ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে রয়েছে দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

ইফাদ অটোজের পরিশোধিত মূলধন ২৫২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৬৮০ কোটি ২৯ লাখ টাকা, বাজার মূলধন ১ হাজার ১৯৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা।

গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৬০ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে। গত ২ বছরে সর্বনিম্ন দর ছিল ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দর ছিল ৬৭ টাকা ৮০ পয়সা।

এ বিভাগের আরো খবর