বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএসইসির শর্ত পূরণে জেএমআইএর ৩৬ শতাংশ বোনাস শেয়ার

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:২৮

কোম্পানি সচিব তারেক হোসেন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের পেইড-আপ ক্যাপিটাল ৩০ কোটির নিচে আছে। বিএসইসি থেকে একটা নির্দেশনা আছে এটা ৩০ কোটি করার। সে জন্যই স্টক ডিভিডেন্ড দেয়া হয়েছে।’

পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পুঁজিবাজারে তালিকাভু্ক্তির পর প্রথমবারের মতো বোনাস লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে সোমবার বিনিয়োগকারীদের ৩৬ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ৩৬টি নতুন শেয়ার পাবেন বিনিয়োগকারীরা।

২২ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির মোট শেয়ারসংখ্যা ২ কোটি ২১ লাখ। নতুন এই সিদ্ধান্তে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ছাড়াবে ৩০ কোটি টাকা আর শেয়ারসংখ্যা বেড়ে হবে ৩ কোটি ৫৬ হাজারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানি সচিব তারেক হোসেন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের পেইড-আপ ক্যাপিটাল ৩০ কোটির নিচে আছে। বিএসইসি থেকে একটা নির্দেশনা আছে এটা ৩০ কোটি করার। সে জন্যই স্টক ডিভিডেন্ড দেয়া হয়েছে।’

স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকে নিয়ে পুঁজিবাজারে কারসাজি বন্ধ করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রতিটির পরিশোধিত মূলধন অন্তত ৩০ কোটি টাকা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই নির্দেশনা পালনের জন্য এবার বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে আসার পর থেকে প্রতিবারই নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে কোম্পানিটি।

এর আগের পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই বিনিয়োগকারীদের ৩০ শতাংশ নগদ বা শেয়ার প্রতি ৩ টাকা মুনাফা দিয়েছে কোম্পানি।

তবে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে ২০১৬ সালে, ওই বছর বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপ্রতি সাড়ে ৩ টাকা পেয়েছিলেন।

এবার কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৫৫ পয়সা। আগের বছর ২০২১ সালে আয় হয়েছিল ৪ টাকা ৩ পয়সা।

আগের বছরের তুলনায় আয় কিছুটা বাড়লেও গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে যে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে তুলনা করলে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হতাশ হতে পারেন।

অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় দেখিয়েছিল ৪ টাকা ৩০ পয়সা। এর মধ্যে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে ৮৬ পয়সা, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ টাকা ৪ পয়সা এবং জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ১ টাকা ৪০ পয়সা আয় দেখায় তারা। অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে আয় হয়েছে সবচেয়ে কম।

কোম্পানিটির সম্পদমূল্যও কিছুটা বেড়েছে। গত জুন শেষে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ১২৪ টাকা ২৫ পয়সা সম্পদ দেখানো হয়েছে যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা।

এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডেকেছে আগামী ২১ ডিসেম্বর। এজিএমে অংশ নিতে বা লভ্যাংশ পেতে চাইলে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে লভ্যাংশ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট।

গত ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর যেসব কোম্পানির দর অনেক বেশি বেশি বেড়েছে, তার একটি এই জেএমআই সিরিঞ্জ। সেদিন শেয়ারদর ছিল ২৯২ টাকা ৩০ পয়সা। আড়াই মাসের কম সময়ে সেটি হয়ে যায় ৫০২ টাকা ৩০ পয়সা। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন সোমবার ৩১ টাকা ৮০ পয়সা কমে হয়েছে ৪৬০ টাকা ৭০ পয়সা।

এ বিভাগের আরো খবর