বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পতনমুখী পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনির লাফ

  •    
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৩৯

‘বাজারে আস্থাহীনতা প্রকট হয়েছে। এই সময়ে ভালো শেয়ারের লেনদেন বা বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে যায়। এই সুযোগে যারা বাজার কারসাজির সঙ্গে যুক্ত থাকে তাদের অনেকেই কম পেইড-আপের শেয়ার নাড়াচাড়া করে (লেনদেন) শেয়ারদর বাড়ায়, যাতে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হয়। ভলিউম কম থাকায় এসব শেয়ারের দাম বাড়ানো তুলনামূলক সহজ।’

দরপতন দিয়ে শুরু হওয়া নতুন সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বা ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দরবৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৬টি আর ২০টি কোম্পানির ১৫টিই স্বল্প মূলধনি।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষের শঙ্কা নিয়ে আলোচনার মধ্যে দেশের পুঁজিবাজারে যে নতুন করে হতাশা দেখা দিয়েছে, তাতে মৌল ভিত্তির কোম্পানিগুলো ঘুমিয়ে থাকার মধ্যে কেবল মূলধন বা শেয়ারসংখ্যা কম, এমন বেশ কিছু কোম্পানির দর অস্বাভাবিক হারে লাফাচ্ছে।

আড়াই মাস ধরে তুমুল আলোচিত বেক্সিমকো ও ওরিয়ন গ্রুপের কোম্পানিগুলোর দাপট কমেছে। গত বছর ওটিসি মার্কেট থেকে মূল বাজারে পড়েছে, এমন তিনটি কোম্পানির শেয়ারদর এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

রোববার ডিএসইর লেনদেন সামগ্রিকভাবে বিনিয়োগকারীদের আরও হতাশ করেছে। যতগুলো কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে তার চেয়ে দেড় গুণ শেয়ারের দর কমেছে।

১২৭টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে দরবৃদ্ধি হয়েছে ৮৩টির। আর আগের দরে লেনদেন হয়েছে ১৬১টি কোম্পানির শেয়ার, যার সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরে লেনদেন হয়েছে।

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

সব মিলিয়ে সূচক কমেছে ১৫ পয়েন্ট, সেই সঙ্গে লেনদেন কমেছে ৬৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৩৪৩ কোটি ১২ লাখ ৪ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারে ছিল ১ হাজার ৪১০ কোটি ৯২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রায় সবই স্বল্প মূলধনির কোম্পানি

সবচেয়ে বেশি দরবৃদ্ধি পাওয়া রংপুর ফাউন্ডির পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২০ সালে ছাড়া প্রতিবছরই চার টাকার কাছাকাছি আয় করেছে কোম্পানিটি, এমনকি ওই বছরই কোম্পানির আয় তিন টাকার ওপরে ছিল।

১০ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ২১৬ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১৯৭ টাকা।

দরবৃদ্ধির চতুর্থ স্থানে থাকা সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ। এর পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো নয়, কোম্পানির আর্থিক ভিত্তিও খুব একটি শক্তিশালী নয়।

বৃহস্পতিবার শেয়ারদর ছিল ৫৯ টাকা ৪০ পয়সা, বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা ৩০ পয়সা। এর চেয়ে বেশি বাড়া সম্ভব ছিল না এক দিনে।

৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের দুর্বল কোম্পানি আজিজ পাইপ, ৩০ কোটি টাকা মূলধনের তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ১০ কোটি ৪৫ লাখ টাকার পেপার প্রসেসিং এবং ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার বিডি ল্যাম্পস ছিল এদিন দরবৃদ্ধির সর্বোচ্চ ১০টি কোম্পানিতে।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির সব কটির পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকার নিচে

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মূলধনও খুব একটি বেশি নয়, ৯৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, তৃতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের মূলধন ৬৪ কোটির কিছু বেশি, আর পঞ্চম স্থানে থাকা আমরা টেকনোলজিসের মূলধন ৬১ কোটি টাকার কিছুটা বেশি।

এই তালিকার ১১ থেকে ২০ নম্বরে থাকা ১০টি কোম্পানির মধ্যে ছয়টির পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকার নিচে। একটির ১৬ কোটি, একটির ২২ কোটি, একটির ২৬ কোটি টাকা।

এর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ৮.৭৩ শতাংশ দর বেড়েছে বিডি ল্যাম্পসের।

আর একাদশ থেকে উনবিংশ স্থানে থাকা স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর দর বেড়েছে ৬.১৪ শতাংশ থেকে ৮.৭৩ শতাংশ পর্যন্ত।

সূচক বেড়েও পরে পতন

লেনদেন শুরুর পরেই দরবৃদ্ধির সঙ্গে সকাল ৯টা ৩৪ মিনিটে সূচক বেড়ে যায় ১৯ পয়েন্ট। ১২ মিনিট পরেই সেখান থেকে ১৬ পয়েন্ট কমে গেলেও আগের দিনের চেয়ে ৫ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল।

এরপর আবারও দরবৃদ্ধি সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে সূচক নিয়ে যায় ৬ হাজার ৫২৭ পয়েন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট বেশি এবং দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান।

এরপর কিছুটা দরপতন হলেও ১০টা ৫১ মিনিট থেকে বেলা ১১ টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত সময়েও সূচক আগের দিনের চেয়ে বেড়ে লেনদেন হতে দেখা যায়।

এই সময়ের পরে যে দরপতন তা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সূচক। দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে ১৫ পয়েন্ট।

লেনদেনের বিষয়ে বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে আস্থাহীনতা প্রকট হয়েছে। এই সময়ে ভালো শেয়ারের লেনদেন বা বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে যায়। এই সুযোগে যারা বাজার কারসাজির সঙ্গে যুক্ত থাকে তাদের অনেকেই কম পেইড-আপের শেয়ার নাড়াচাড়া করে (লেনদেন) শেয়ারদর বাড়ায়, যাতে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হয়। ভলিউম কম থাকায় এসব শেয়ারের দাম বাড়ানো তুলনামূলক সহজ।’

যেমন বাড়ল স্বল্পমূলধনির দর

সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দরবৃদ্ধি পাওয়া রংপুর ফাউন্ড্রি পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা।

৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ বা ৫ টাকা ৯০ পয়সা।

৫ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূলধনের কোম্পানি আজিজ পাইপসের দর বেড়েছে ৯.২৯ শতাংশ বা ১০ টাকা ৮০ পয়সা।

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের মূলধন ৩০ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার। শেয়ারদর বেড়েছে ২১ টাকা ৫০ পয়সাব ৮.৭৫ শতাংশ।

পেপার প্রসেসিংয়ের দর বেড়েছে ৮.৭৫ শতাংশ বা ২৫ টাকা ১০ পয়সা, এটির মূলধন ১০ কোটি ৪৫ লাখ।

৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূলধনের কোম্পানি বিডি ল্যাম্পস বা বাংলাদেশ ল্যাম্পসের দর বেড়েছে ৩০ টাকা ২০ পয়সা, অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে ৮.৭৪ শতাংশ বেশি।

অ্যাপেক্স ফুডসের দর ২৫ টাকা ৩০ পয়সা বা ৮.৭৪ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানির মূলধনের পরিমাণ ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা।

জেমিনি সি ফুডের মূলধন পাঁচ কোটির নিচে। অথচ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৮.৭৪ শতাংশ বা ৪২ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির মূলধন ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা একাদশ থেকে ২০ নম্বর অবস্থানে থাকা কোম্পানিগুলোর নয়টির মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে, এর ছয়টির আবার ১০ কোটির নিচে

বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপারের দর বেড়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৮.৭৩ শতাংশের মতো। এই কোম্পানির মূলধন ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার।

ইস্টার্ন ক্যাবলসের দর বেড়েছে ৮.৭১ শতাংশ বা ১৭ টাকা ৯০ পয়সা, যেখানে কোম্পানির মূলধন ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর বেড়েছে ৮.৭০ শতাংশ বা ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানির মূলধনের পরিমাণ ১৬ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।

অ্যারামিট লিমিটেডের দর বেড়েছে ২৬ টাকা ২০ পয়সা বা ৮ শতাংশ। কোম্পানির মূলধন ৬ কোটি টাকা।

সবচেয়ে কম মূলধনি কোম্পানির হিসেবে ৭.৪৯ শতাংশ বা ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা দর বেড়েছে সোনালী আঁশের। কোম্পানির মূলধনের পরিমাণ মাত্র ২ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

জেএমআই সিরিঞ্জেসের মূলধন ২২ কোটি ১০ লাখ, শেয়ারদর বেড়েছে ৬.৬২ শতাংশ বা ৩০ টাকা ৬০ পয়সা।

অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি বা প্রাণের দর বেড়েছে ৬.১৪ শতাংশ বা ২০ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানির মূলধন ৮ কোটি টাকা।

তালিকার ২০তম স্থানের অগ্নি সিস্টেমসের দর বেড়েছে ৫.২৯ শতাংশ বা ১ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির মূলধনের পরিমাণ ৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বড় মূলধনির কী চিত্র

মূলধনের ভিত্তিতে অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। এটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫৪০ কোটি টাকা।

কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন অপরিবর্তিত দরে বা ফ্লোর প্রাইসে হওয়ার সঙ্গে হাতবদল হয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৭২৭টি শেয়ার, যার বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

গ্রামীণফোনের মতো বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারেও খুব বেশি আগ্রহ ছিল না। কোম্পানির মূলধনের পরিমাণ এক হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ফ্লোর প্রাইস বা আগের দিনের দর ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সায় মাত্র ৬৫ হাজার ৩৬২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকায়।

এই খাতের আরেক কোম্পানি রবি আজিয়াটার মূলধনের পরিমাণ ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অথচ শেয়ার লেনদেন হয়েছে মাত্র ৭ হাজার ২৫৪টি। আগের দর বা ফ্লোর প্রাইসে যার বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

ব্যাংক খাতের সিংহভাগ কোম্পানির মূলধনই বাজারের অন্যান্য খাতের কোম্পানির চেয়ে বেশি। অথচ এই খাতের মাত্র ৫টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে, এর মধ্যে ৩টির ১০ পয়সা, ১টির ২০ পয়সা ও ১টির ৩০ পয়সা।

৯টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে, যার ৭টির দর কমেছে ১০ পয়সা করে আর একটির ২০ পয়সা ও একটির ৩০ পয়সা কমেছে।

এর বাইরে ১৯টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দর বা ফ্লোর প্রাইসে।

এসব কোম্পানিতেও লেনদেনের পরিমাণ খুবই কম। মাত্র ৫টি কোম্পানিতেই লেনদেনের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ২টিতে লেনদেন হয়েছে এক কোটির বেশি, ২টিতে দুই কোটির বেশি ও একটি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটির বেশি।

সিটি ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার টাকা, হাতবদল হয়েছে ১০ লাখ ৬ হাজার ৯৯টি।

আইএফআইসি ব্যাংকের ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ১২৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪ কোটি ৮ লাখ ৪ হাজার টাকায়।

যমুনা ব্যাংকের ১ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার টাকায় হাতবদল হয়েছে ৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৭০টি শেয়ার।

এনসিসি ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৫১ হাজার, শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৯ লাখ ২ হাজার ২০৩টি।

ওয়ান ব্যাংকের ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৪১৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৮ হাজার টাকায়।

সূচকে প্রভাব যাদের

সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট সূচক কমেছে লাফার্জ হোলসিমের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ২ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

বেক্সিমকো ফার্মার দর ২ দশমিক ২ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট।

এ ছাড়াও ইউনিক হোটেল, সি-পার্ল, শাহজিবাজার পাওয়ার, বিএসআরএম স্টিল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সাইফ পাওয়ার ও ম্যাকসন স্পিনিংয়ের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩১ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বসুন্ধরা পেপার। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দর ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট।

বিকন ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ।

এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে জেএমআই হসপিটাল, সোনালী পেপার, জেএমআই সিরিঞ্জেস, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, এডিএন টেলিকম ও ইসলামী ব্যাংক।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২২ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট।

শীর্ষ ৫ খাত যেমন

ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর থেকে বিপুল সংখ্যক শেয়ারের লেনদেন ফ্লোর প্রাইসে হওয়ার কারণে কোনো খাতেই খুব বেশি দরবৃদ্ধি বা দরপতন দেখা যাচ্ছে না।

গত দুই মাসের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে লেনদেনের শীর্ষে ওষুধ ও রসায়ন খাত। সর্বোচ্চ ২৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৯.১১ শতাংশ। খাতটিতে ৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। আর ১০টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে। আর দরপতন হয়েছে ১২টির।

প্রকৌশল খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯১ কোটি ২০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ১০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৩টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ১৯টির।

তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৭৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ৫টির দরবৃদ্ধি, ৪টির দরপতন ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে ৪টি কোম্পানির।

চতুর্থ সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে। এ খাতে ১২টির দরবৃদ্ধি ও ১০টি কোম্পানির দরপতন ও অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে ৩৫টির। হাতবদল হয়েছে ৮৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।

৭৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা লেনদেন করে তালিকার পঞ্চম স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাত। ২টি বা ৫০ শতাংশ করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও দরপতন হয়েছে।

দর পতনের শীর্ষ ১০

পতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইন্দো-বাংলা ফার্মা। ৯ দশমিক ১২ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৪ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আগের দিনে লেনদেন হয় ২৭ টাকা ৪০ পয়সায়।

পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স। ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৫ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা।

তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে বিডি ওয়েল্ডিং। ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ২৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ২৬ টাকা ৫০ পয়সায়।

দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- বিডিকম, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ম্যাকসন স্পিনিং, ইয়াকিন পলিমার, মুন্নু সিরামিকস ও আরএসআরএম স্টিল।

এ বিভাগের আরো খবর