বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাংক কার্ডের লেনদেন কমেছে

  •    
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২২ ২১:২৮

ব্যাংকের কার্ডে আগস্টে লেনদেন হয়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ডেবিট কার্ডে লেনদেনের পরিমাণ ৩৩ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। আর ক্রেডিট কার্ডে হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন।

ব্যাংকে গিয়ে টাকা তোলা বা জমা দেয়ার দিন ফুরিয়ে আসছে। পণ্য বা সেবা পেতে এখন নগদ টাকার ব্যবহার কমে আসছে। যতোই দিন যাচ্ছে ততোই জনপ্রিয় হচ্ছে ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রি-পেইড কার্ড। তবে হঠাৎ করেই আগস্টে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমেছে।

সবশেষ তথ্যানুযায়ী, কার্ডে একক মাস আগস্টে লেনদেন হয়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ডেবিট কার্ডে লেনদেনের পরিমাণ ৩৩ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। আর ক্রেডিট কার্ডে হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন।

এর আগে জুলাইতে ডেবিট কার্ডে লেনদেনের পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। আর ক্রেডিট কার্ডে হয় আড়াই হাজার কোটি টাকার লেনদেন।

কার্ড নির্ভরতার কারণ কি?

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনো দেশের বড় অংশের মানুষের ব্যক্তিগত লেনদেন নগদ টাকায় হয়। কিন্তু আধুনিক জীবন ব্যবস্থায় দিনকে দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে নগদ টাকার ব্যবহার কমছে।

গ্রাহকরা বলছেন, নগদ টাকায় ঝুঁকি বেশি। কিন্তু কার্ডে টাকা থাকলে সেক্ষেত্রে তুলনামূলক ঝুঁকি কম। এছাড়া পকেটে টাকা রাখার চেয়ে কার্ড রাখা বেশি নিরাপদ এবং স্বস্তিদায়ক।

ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আগে অনেক গ্রাহক কার্ড নিতে চাইতেন না। কিন্তু এখন অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। অনেকে কার্ডে ঝুঁকছেন। সাম্প্রতিক কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার কারণে ই-কমার্সে লেনদেন অনেক কমে গেছে। সেটি না হলে কার্ডে লেনদেন আরও বাড়ত।

প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকদের উৎসাহিত করেছে ব্যাংকগুলো। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি খাতের সব ব্যাংকই এখন প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিংসেবা দিচ্ছে। এসব সেবায় যোগ হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম, অনলাইন সিআইবি রিপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, প্রি-পেইড কার্ড, ভিসা কার্ড এবং বিভিন্ন প্রযুক্তির এটিএম।

এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন ও জমা, রেমিট্যান্স বিতরণ, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ও বেতন-ভাতা প্রদান সবই সম্ভব।

ডেবিট কার্ডের সংখ্যা ও লেনদেন

হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, আগস্ট শেষে মোট ডেবিট কার্ড ২ কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার ৫৯৪টি। এসব কার্ডে লেনদেন ৩৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। জুলাইতে লেনদেন ছিল ৩৫ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা।

আর চলতি বছরের ছয় মাসের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জানুয়ারিতে ডেবিট কার্ড ছিল ২ কোটি ৫৫ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬৮টি। লেনদেন হয় ২৪ হাজার ৭০১ কোটি টাকা।

তিন মাস পর মার্চ শেষে কার্ডের সংখ্যা বেড়ে হয় ২ কোটি ২৪ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৭টি। লেনদেনও বেড়ে হয় ২২ হাজার কোটি টাকা।

এর তিন মাস পর জুন শেষে ডেবিট কার্ড ব্যবহার আরও বাড়ে। এ সময় কার্ড ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ৪৭ হাজার ২০১টি। এসব কার্ডে ২৮ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

ক্রেডিট কার্ড

গ্রাহকের তাৎক্ষণিক টাকার চাহিদা মেটাচ্ছে ক্রেডিট কার্ড। টাকার প্রয়োজনে কারও কাছে না গিয়ে এই কার্ডে ব্যাংকের বুথ থেকে নগদ টাকা তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পণ্যের কেনাকাটা ও সেবার মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে। কোনো সুদ ছাড়া টাকা পরিশোধে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় মিলছে। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, বিদেশে গিয়েও এসব কার্ডে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন করার সুযোগ আছে।

আগস্টে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ২২ হাজার ২৫৯টি। লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। জুলাইতে ক্রেডিট কার্ডে ২ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

এর আগে চলতি বছর এপ্রিলে ক্রেডিট কার্ডে রেকর্ড ২ হাজার ৭১৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এক মাসে ক্রেডিট কার্ডে এত লেনদেন আগে কখনো হয়নি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় মার্চে, ২ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। জুনে লেনদেন ২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। এটি ক্রেডিট কার্ডের তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন।

ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়মতো দিতে না পারলে জরিমানার পাশাপাশি অনেক বেশি হারে সুদ দিতে হয়। ব্যাংকে সুদহার ৯ শতাংশ হলেও কার্ডের সুদ ২০ শতাংশ পর্যন্ত আছে।

২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব ঋণে সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মানে ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ সুদ হওয়ার কথা ১৪ শতাংশ। তবে এই নির্দেশনাও অমান্য করে অনেক ব্যাংকই বিভিন্নভাবে এর চেয়ে বেশি টাকা আদায় করত।

ফলে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কোনো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে ২০ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না বলে নতুন নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি ওই বছর ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়।

প্রি-পেইড কার্ড

দেশে প্রি-পেইড কার্ডের গ্রাহক ২৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৬ জন। এ সময়ে এসব কার্ডে লেনদেন হয়েছে ২৯৭ কোটি টাকা। জুলাইতে এ কার্ডে লেনদেন ছিল ২৯০ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর