বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর ঘুষ নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থতা বিপদসংকেত’

  •    
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২২ ২০:৩৪

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিদেশে ঘুষ প্রদান বন্ধে ব্যর্থ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও সিঙ্গাপুর রয়েছে। বিষয়টিকে বাংলাদেশের জন্য বিপদসংকেত হিসেবে বিবেচনা করা অপরিহার্য।’

বিদেশে ঘুষ লেনদেনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে শীর্ষস্থানীয় বৈদেশিক বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি এ বিষয়ে আইনের কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়েছে।

বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) সচিবালয় ১১ অক্টোবর ‘দুর্নীতির রপ্তানি ২০২২: OECD (ওইসিডি) ঘুষবিরোধী কনভেনশন প্রয়োগের মূল্যায়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে খেলাপি দেশগুলোকে তাদের প্রাসঙ্গিক আইনের দুর্বলতা দূরীকরণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে টিআই।

একই সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে যেকোনো ধরনের দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

দ্বিবার্ষিক এই প্রতিবেদনে ৪৭টি শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক রপ্তানিকারকের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪৩টি ওইসিডি ঘুষবিরোধী কনভেনশনের সদস্য। অন্য চারটি শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ হলো চীন, ভারত, হংকং ও সিঙ্গাপুর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক রপ্তানির প্রায় ৪০ ভাগ করায়ত্ত করে রাখা ২০টি দেশ মূল্যায়নের সময়টাতে বিদেশে ঘুষ প্রদান বন্ধে খুব কম বা কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপই নেয়নি।

প্রতিবেদনের এমন ফল উদ্ধৃত করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিদেশে ঘুষ প্রদান বন্ধে ব্যর্থ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও সিঙ্গাপুর রয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বিষয়টিকে বাংলাদেশের জন্য বিপদসংকেত হিসেবে বিবেচনা করা অপরিহার্য।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে রপ্তানি ও বিনিয়োগকারী দেশগুলোর ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উদ্বেগজনকভাবে দুর্নীতির ঝুঁকিতে পড়ছে, যা গভীর হতাশার। পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, এই দেশগুলোর অধিকাংশই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও বিশ্বাসযোগ্য বেশিরভাগ দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

‘দেশগুলো যা প্রচার করে, তা চর্চা করার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। পাশাপাশি দেশগুলোর আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা তাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার জন্য যেন যথেষ্ট শক্তিশালী ও কার্যকর হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই। আমরা আশা করব, তারা আমাদের মতো দেশে তাদের দুর্নীতি রপ্তানি বন্ধে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছু করবে।’

ড. ইফতেখার আরও বলেন, ‘টিআইবি বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারদের ব্যর্থতার কাছে আমাদের জিম্মি হয়ে থাকার যৌক্তিকতা নেই। আমরা আমাদের সরকারকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুর্নীতিনির্ভর সব ধরনের লেনদেন প্রতিরোধে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই।’

টিআইবি বলছে, টিআই-এর প্রতিবেদনে শুধু সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র ‘সক্রিয় কার্যকর’ হিসেবে বিবেচিত, যদিও তারা সর্বোচ্চ প্রত্যাশিত মান অর্জন থেকে এখনও দূরে রয়েছে।

মূল্যায়নে সর্বনিম্ন কার্যকর দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, চেক-প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও তুরস্ক।

‘সীমিত কার্যকর’ বা নিচ থেকে দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন ও সুইডেন।

‘পরিমিতভাবে কার্যকর’ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, নরওয়ে ও যুক্তরাজ্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামগ্রিকভাবে প্রতিবেদনে এমন সব দেশের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের হতাশাজনক চিত্র উঠে এসেছে, যারা দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় বৈশ্বিক নেতৃত্বে থাকবে বলে আশা করা হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর