পুঁজিবাজারে কারসাজি করে পৌনে ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার দায়ে তিন বিনিয়োগকারীকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত প্রভাতি ইনস্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে এই কারসাজি হয়েছে।
তদন্ত ও শুনানি শেষে ২০ সেপ্টেম্বর ওই তিন ব্যক্তিকে জরিমানার টাকা জমার নির্দেশ দেয় দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এ জন্য তাদের ৩০ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়।
বিএসইসির তদন্তে উঠে এসেছে, এই তিন ব্যক্তি ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবরের মধ্যে প্রভাতি ইনস্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে দাম বাড়ান।
২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রভাতি ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ছিল ২৯ টাকা ৪০ পয়সা। আর ২২ অক্টোবর এই শেয়ারের দাম গিয়ে দাঁড়ায় ৬৭ টাকা ৪০ পয়সা।
ওই সময় সিটি ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারী মো. সাইফ উল্লাহ ও তার ভাই মো. এ জি মাহমুদ প্রভাতি ইনস্যুরেন্সের ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার ৬০৫টি শেয়ার কেনেন। আর বিক্রি করে দেন ৮ লাখ ২৮ হাজার ১৯৭টি শেয়ার।
তাতে করে ওই সময় তারা সরাসরি মুনাফা করেন ১ কোটি ২৭ লাখ ১৯ হাজার ১৯৭ টাকা। আর তাদের ধরে রাখা শেয়ারে অনর্জিত মুনাফা ছিল ৬ কোটি ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৪৯ টাকা।
অর্জিত ও অনর্জিত মিলে তাদের মোট মুনাফা হয় ৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৬ টাকা।
এ কারণে ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা সিটি ব্রোকারেজ হাউসের বিনিয়োগকারী মো. সাইফ উল্লাহকে বিএসইসি জরিমানা করেছে ১৫ লাখ টাকা।
আর তার ভাই নোয়াখালীর রামগঞ্জের বাসিন্দা সিটি ব্রোকারেজ হাউসের বিনিয়োগকারী মো. এ জি মাহমুদকে জরিমানা করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
একই সময়ে তাদের সহযোগী চাঁদপুরের বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিনকে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা।
ব্রোকারেজ হাউস এসবিএল-এর বিনিয়োগকারী মো. জসিম উদ্দিন ও অন্য সহযোগীরা মিলে প্রভাতি ইনস্যুরেন্সের ৩২ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫৪টি শেয়ার কেনেন। আর বিক্রি করে দেন ৩৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪টি শেয়ার।
এর মধ্য দিয়ে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবরের মধ্যে মো. জসিম উদ্দিন মোট ৪ কোটি ১৯ লাখ ৮ হাজার ৭২৫ টাকা মুনাফা করেন।