ফ্লোর প্রাইসে দুই শতাধিক কোম্পানির গড়াগড়ি খাওয়ার মধ্যে আড়াই মাসে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানি দর হারাতে থাকার মধ্যে লেনদেন এবার নামল এক হাজার কোটি টাকার নিচে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ১১৯ পয়েন্ট দরপতনের পরদিন সূচক অবস্থান ধরে রাখার পর তৃতীয় কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছোটখাটো একটি লাফ দিল।
৫০ পয়েন্ট উত্থানের দিন ১৩৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি এবং ৩২টির দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তির কোনো কারণ ছিল না এ কারণে যে ১৯৭টি কোম্পানি এদিন হাতবদল হয় আগের দিনের দরে। যেগুলোর প্রায় সবগুলোই আসলে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয়েছে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে যে চিত্র অতীতে দেখা গেছে, সেটি আবার দেখা যাচ্ছে। স্বল্প মূলধনি বা দুর্বল কোম্পানিগুলোর শেয়ারে তুমূল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
এদিন সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে যেগুলোর সেগুলোর সিংহভাগের আয়, লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো নয়। আবার এমন কোম্পানিও আছে, যাদের উৎপাদন বন্ধ কয়েক বছর ধরে।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি লোকসানি। একটির উৎপাদন শুরু হওয়া অনিশ্চিত বলে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ কোম্পানি আইসিবির হাতে থাকা কোম্পানির শেয়ার বিক্রির নির্দেশনা এসেছে।
একটি কোম্পানি গত ৫ বছরের মধ্যে তিন বছর লোকসান দিয়েছে। বাকি দুই বছর সামান্য মুনাফা করার পর শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা ও ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়েছে।
একটি কোম্পানির আয় গত ৫ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে। পাঁচ বছর আগে শেয়ার প্রতি তিন টাকার বেশি আয় করা কোম্পানিটি গত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ২২ পয়সা আয় করেছে। গত মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে আয় হয়েছে ১৪ পয়সা।
অন্য একটি কোম্পানি টানা পাঁচ বছর ধরে শেয়ার প্রতি কেবল ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। তাদের আয়ের প্রবৃদ্ধি নেই। এই পাঁচ বছরে একবারই কেবল ৫০ পয়সার বেশি আয় হয়েছে তাদের।
অন্য একটি কোম্পানি গত ৫ বছরেও কখনও শেয়ার প্রতি এক টাকা আয় করতে পারেনি। আর দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানি গত দুই বছরে শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়ে আসার পর এবারই প্রথম দেড় টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৯৯৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। গত ১৪ আগস্টের পর এক প্রথম লেনদেন নামল হাজার কোটির দিনে। ৩৮ কর্মদিবস আগে সেদিন হাতবদল হয় ৬৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার।
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র
মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুর্বল কোম্পানির দরবৃদ্ধি বা দুর্বল কোম্পানি- এই কথাটা আমি মনে করি না।
‘দুর্বল বলতে আর্থিক অবস্থা বর্তমানে ভালো নয়, সেটাই তো বোঝানো হয়েছে, বিজনেস ভালো হলে অবস্থা তো ভালো হতেই পারে। দুর্বল কোম্পানি সবসময়ের জন্য দুর্বল নয়। বেশ কয়েকটি কোম্পানির আগে খারাপ ছিল এখন তো সেগুলোর ইপিএস ভালো হয়েছে।’
সূচক ও লেনদেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মার্কেট ডাউনওয়ার্ডে ছিল ১৫-২০ দিন যাবত, এখন আবার আপওয়ার্ডে যাবে। মার্কেটের ট্রেন্ড অনুযায়ী সূচক, লেনদেন দুটোই বাড়বে।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষে যারা
লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে দরবৃদ্ধি বা পতনের সীমা না থাকায় সি-পার্লের দর ১২.৬৭ শতাংশ বেড়েছে। আগের দিন দর ছিল ১৩১ টাকা, ১৬ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ টাকা ৬০ পয়সা।
২০১৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারদর কখনও এতটা উঁচুতে উঠেনি। প্রথম বছর ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া কোম্পানিটি পরের দুই বছর শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল।
২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪৪ পয়সা, পরের বছর লোকসান হয় ৯ পয়সা, ২০২১ সালে আয় হয় ৬১ পয়সা। আর গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে মেয়ার প্রতি আয় হয় ১ টাকা ৩৪ পয়সা, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪৪ টাকা। আড়াই মাসেরও কম সময়ে সেটি সাড়ে তিন গুণ হয়ে গেল।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে পেনিনসুলা চিটাগংয়ের। ১০ শতাংশ দর বেড়েছে কোম্পানিটির।
তালিকাভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো দিন শেয়ারপ্রতি এক টাকা আয় করতে পারেনি। ৩০ টাকা থেকে বেড়ে শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩৩ টাকায়।
এরপরে ৯.৯১ শতাংশ দর বেড়েছে লোকসানি হাক্কানি পাল্পের। গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ৭ পয়সা আয় ছাড়া প্রতি বছরই লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি।
গত বছর ১ শতাংশ, তার আগের দুই বছর ২ শতাংশ ও ২০১৮ সালে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
বুধবার শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৭৫ টাকা ৪০ পয়সায়।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় এমন সব কোম্পানি দেখা গেছে, যাদের ব্যবসার পরিস্থিতি বা লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো না
গত বছর বিপুল লোকসান দেয়া ইনফরমেশন সার্ভিসেসের দর বেড়েছে ৯.৮৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে ৫২ পয়সা লোকসানের পরের তিন বছর ৫০ পয়সার নিচে আয় করেছে। কিন্তু ২০২১ সালে লোকসান দিয়েছে ৮ টাকা ৪৫ পয়সা।
২০২০ সালে ১ ও তার আগের বছর ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আজ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬০ টাকায়।
গত বছর শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৯৪ পয়সা লোকসানে থাকা আফতাব অটোসের দর বেড়েছে ৯ টাকা ৭৬ শতাংশ। শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৬০ পয়সায়।
লোকসান হলেও ২০২১ সালে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানি। তার আগের বছরগুলোতে আয় ভালো থাকায় লভ্যাংশ আরও বেশি দিয়েছিল।
নাভানা সিএনজির দর ৯.৭৬ শতাংশ বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ টাকা ৬০ পয়সায়।
২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। গত ৫ বছর ধারাবাহিকভাবে কমছে আয়। ২০১৭ সালে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩ টাকা ৩ পয়সা। প্রতি বছর কমতে কমতে ২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়ায় ২২ পয়সা। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক মার্চ পর্যন্ত আয় হয়েছে ১৪ পয়সা।
ধারাবাহিকভাবে লোকসানে থাকায় কোনোদিন নগদ লভ্যাংশ দিতে পারেনি বিডি ওয়েল্ডিং। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ। বোর্ড পুনর্গঠন করার পর কোম্পানিটি উৎপাদনে ফিরতে পারবে না এই আশঙ্কায় আইসিবির হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার সুপারিশ করেছে বিএসইসি।
জেড ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানির শেয়ারদর ৯.৭২ শতাংশ বেড়ে হাতবদল হয়েছে ২৭ টাকা ১০ পয়সায়। সম্প্রতি কোম্পানিটির দর ৪০ টাকার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। পরে আবার নেমে আসে ২২ টাকায়। গত ২ দিনে বাড়ল ২১ শতাংশ।
ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশনের দর ৯.৫৫ শতাংশ বা ৪ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে ৪৮ টাকা ২০ পয়সায়।
২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি ৮১ পয়সা আয়ের বিপরীতে ২ শতাংশ নগদ ও ৮ শতাংশ বোনাস বা স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ইন্ট্রাকো।
গত পাঁচ বছরে দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ারপ্রতি আয় ৫০ পয়সা অতিক্রম করতে পারেনি। ২০২১ সালে ২০ পয়সা আয়ের বিপরীতে ৫ শতাংশ বা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল।
বসুন্ধরা পেপারের দর ৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ৮.৮২ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৩৭ পয়সা আয়ের বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেয় কোম্পানি।
বুধবার শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা।
গত বছর ওটিসি মার্কেট থেকে ফেরা মনোস্পুল পেপারের দর গত কয়েক দিন ধরেই লাফাচ্ছে। দর ৮.৭৫ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩১ টাকা ৮০ পয়সায়।
২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ২২ টাকা ১৪ পয়সা আয় ছিল। তার পরের বছর আয় কমে দাঁড়ায় ৫ টাকা ৫৬ পয়সায়। ২০২১ সালে সেটি আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। আর বিপরীতে ওই বছর কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বা ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়।
গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ার প্রতি ১০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর বোর্ড মিটিংয়ের দিন শেয়ারদর ছিল ১৯২ টাকা ৯০ পয়সা। ৮ কর্মদিবসে দর বাড়ল ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সা।
স্বল্প মূলধনি ও দুর্বল আর্থিক ভিত্তির আরও সাতটি কোম্পানির দর ৮ শতাংশের বেশি, আরও ৭টির দর ৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ১২টির দর বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, ৬টির দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি, ১৫টির দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি, ১৬টির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পতনের তালিকার শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি। ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১০ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আগের দিনে লেনদেন হয় ১১ টাকা ২০ পয়সায়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে ছিল কোহিনূর কেমিক্যাল। ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৪৬ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৬৬৭ টাকা ৪০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। ২ দশমিক ২৬ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ১২০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ১২৩ টাকা ৫০ পয়সায়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, মুন্নু অ্যাগ্রো, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, আজিজ পাইপস, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সিটি ব্যাংক।
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের দর ৩ দশমিক ০১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট।
সি-পার্ল সূচকে যোগ করেছে ৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এর বাইরে ইউনিক হোটেল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ওরিয়ন ইনফিউশন, বসুন্ধরা পেপার, জেএমআই হসপিটাল, সোনালী পেপার ও জেএমআই সিরিঞ্জেস।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ০৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ দশমিক ০৫ পয়েন্ট কমেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ২ দশমিক ২৭ শতাংশ।
কোহিনূর কেমিক্যালের দর ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট।
আর কোনো কোম্পানি এক পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি।
ইউনিলিভার, সিটি ব্যাংক, আল আরব ব্যাংক, ম্যারিকো, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৭ দশমিক ৭২ পয়েন্ট।
কোন খাত কেমন
গত এক মাসের সাধারণ চিত্রের মতোই শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। লেনদেন হয়েছে ২৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ২৪.৫৭ শতাংশ। খাতটিতে ১৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে ৯টি কোম্পানির। আর দরপতন হয়েছে ৩টির।
বিবিধ খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫৪ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ৭টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৪টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। দরপতন হয়েছে ২টির।
তৃতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ১৪২ কোটি টাকা। ২৪টির দরবৃদ্ধি, ৫টির দরপতন ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে ১৩টি কোম্পানির।
চতুর্থ সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে। এ খাতে কোনো দরপতন হয়নি। লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
৫টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে একটি লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।
৫০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা ৫.৩৫ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার পঞ্চম স্থানে ছিল বস্ত্র খাত। ১৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির সঙ্গে ২টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে দর কমে। আর অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে ৪৪টি কোম্পানির।
বাকি খাতের লেনদেন ৫ শতাংশের নিচে ছিল।
এর বাইরে খাদ্য ৫০ শতাংশ, জ্বালানি ৫৬ শতাংশ, প্রযুক্তি ৮১ শতাংশ, সিমেন্ট ৬৬ শতাংশ, ট্যানারি ৫০ শতাংশ, জুট, সেবা ও ভ্রমণ খাতে শতভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে।