বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সূচকের পর এবার লেনদেনের ধাক্কা

  •    
  • ১১ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:০১

এই লেনদেন আবার ভারসাম্যহীন। মোট লেনদেনের লেনদেনের ৪০ শতাংশের বেশি হয়েছে কেবল কেবল ১০টি কোম্পানিতে। এগুলোতে হাতবদল হয়েছে লেনদেন ৪০৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে যে ২১৫ কোম্পানি, সেগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ৬ হাজার টাকা।

জুলাইয়ের শেষ দিন থেকে পুঁজিবাজারে কিছু কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃ্দ্ধির কারণে সূচকের উল্লম্ফন এখন পুঁজিবাজারে লেনদেনের ঘাটতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেয়ারদর তরতর করে বাড়তে থাকা কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন যারা, তারা এখন বিপাকে। শেয়ারদর কমতে শুরুর করার পর বিপুল পরিমাণ টাকা আটকে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে লেনদেনে।

রোববার ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটির পর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে বড় দরপতনের ধাক্কার পরদিন মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন কোনো রকমে এক হাজার কোটি টাকার ঘর পার করতে পেরেছে।

আগের দিন ১১৯ পয়েন্ট দরপতনের পর ০.২৮ পয়েন্ট যোগ হওয়া বিনিয়োগকারীর মধ্যে চিড় ধরা আস্থায় এতটুকু মলম দিতে পারেনি।

এদিন ৭৩টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৮০টির দর। আগের দরে লেনদেন হয়েছে ২১৫টি কোম্পানির শেয়ার, যার অধিকাংশই ফ্লোর প্রাইসে গড়াগড়ি খাচ্ছে।

আগের দিনের চেয়ে লেনদেন চার শ কোটি টাকা কমেছে। এই লেনদেন গত ৩৮ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

দিনশেষে হাতবদল হয়েছে এক হাজার ১০ কোটি ৩৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।

এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল গত ১৪ আগস্ট। সেদিন হাতবদল হয় ৬৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার।

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

এই লেনদেন আবার ভারসাম্যহীন। মোট লেনদেনের লেনদেনের ৪০ শতাংশের বেশি হয়েছে কেবল কেবল ১০টি কোম্পানিতে। এগুলোতে হাতবদল হয়েছে লেনদেন ৪০৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে মোট লেনদেনের ৫৬ শতাংশ যা টাকার অংকে ৫৬০ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

আবার দর বেড়েছে এমন কোম্পানিগুলোতে হাতবদল হয়েছে লেনদেনের প্রায় অর্ধেক বা ৪৯০ কোটি ১০ লাখ টাকা।

দর হারানো ৮০টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে যে ২১৫ কোম্পানি, সেগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ৬ হাজার টাকা।

সূচক বাড়াতে পারেনি ওরিয়ন গ্রুপও

গত আড়াই মাস ধরে পুঁজিবাজারের সূচকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করা ওরিয়ন গ্রুপের চারটি কোম্পানির তিনটির দর বাড়লেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক বাড়াতে তা যথেষ্ট ছিল না এ কারণে যে বেক্সিমকো গ্রুপের আলোচিত দুটি কোম্পানি এদিন সূচক টেনে ধরার চেষ্টায় ছিল।

তবে দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন ও অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হওয়া শেয়ারের সংখ্যা চারগুণ, যার কারণে সূচক এক পয়েন্টও বাড়তে পারেনি।

চাপ কাটার ইঙ্গিত দিয়েও ধপাস

বড় দরপতনের ধাক্কা নিয়ে শুরু হওয়া লেনদেনের প্রথমে সূচক কিছুটা বেড়েওছিল। কিছুক্ষণ পর আবার কমে গেলেও দিনের মধ্যভাগে ৪২ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে দেখা যায়।

বেলা ১১টা ১ মিনিটে সূচকের অবস্থান ছিল দিনের সর্বোচ্চ, ৬ হাজার ৪৯১ পয়েন্ট। পরবর্তী এক ঘণ্টাতেও সূচক এর আশেপাশে ছিল।

কিন্তু ১২টার পর থেকে ঢালাও দরপতনে সূচক কমতে থাকে। সূচক পতনে লেনদেন শেষ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় ১ টা ৩০ মিনিটে। ওই সময় আগের দিনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট বেশি সূচক পড়ে। তবে শেষ মুহুর্তের সমন্বয়ে ডিএসইএক্স সবুজ থেকে লেনদেন শেষ করেছে।

অপর দুই সূচক ডিএসইএস ও ডিএস৩০ যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৮৪ ও ৪ পয়েন্ট হারিয়েছে।

আরও আসছে…

এ বিভাগের আরো খবর