পুঁজিবাজারের সেরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ১১ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গত বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেয়া এই পুরস্কারের নাম ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পুরস্কার’।
সোমবার রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন তাজুল ইসলাম
বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি- তিন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলার ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে গ্রীন ডেল্টা সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
মার্চেন্ট ব্যাংক ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। দ্বিতীয় পুরস্কারও উঠেছে দুটি প্রতিষ্ঠানের ঘরে। এর একটি সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড, আরেকটি সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স লিমিটেড।তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
সম্পদ ব্যবস্থাপক বা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার লাভ করে শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। দ্বিতীয় হয়েছে অ্যালায়েন্স ক্যাপিটাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
পুরস্কার হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ট্রফি, সনদ ও চেক প্রদান করা হয়। এর বাইরেও কিছু প্রণোদনা পাবে তারা।
পুরস্কারপ্রাপ্ত স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলারের এক বছরের সনদ নবায়ন ফি, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানির বার্ষিক ফি মওকুফ করা হবে।
বিএসইসির বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হবে।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) বিএসইসি অফিসে প্রবেশের স্থায়ী গেট-পাস পাবেন। আমন্ত্রিত হবেন বিএসইসি আয়োজিত সব ধরনের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর বিএসইসির ৭৯৯তম সভায় এই পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের চরম পর্যায়ে অবস্থান করছে। একটা সময় বাংলাদেশের লোকদের বিদেশিরা গরিব বলে আখ্যা দিতো এখন সেটা আর নেই। এর অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার বিচক্ষণ পরিকল্পনায় আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন দ্রুতগতিতে এগুচ্ছে।’
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম
সভাপতির বক্তব্যে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘এবার যারা পুরস্কার পেয়েছেন তারা এটি আগামীতেও ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। আর যারা পাননি তারা আগামীতে এই পুরস্কার পাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে ব্যবসায় একটি প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের সৃষ্টি হবে। তাতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
‘কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়াতে এই আয়োজন। এর ফলে কোম্পানিগুলোর দক্ষতা বাড়বে, যা দীর্ঘমেয়াদে আমাদের জাতীয় লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে যাওয়া। আর শেয়ারবাজার উন্নত হলেই তা সম্ভব।’অনুষ্ঠানে বিএসইসির সব কমিশনার ও কর্মকর্তা, ডিএসই ও সিএসইর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পুঁজিবাজারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন।