বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারিভাবে পণ্য আনার আগেই ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৫১

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আবার অনেক সময় আনলোড করলেও পোর্টে পড়ে থাকে। বিশেষ করে শিপ থেকে যদি আনলোড না করা যায়, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স না দিলে তো পোর্ট ডিক্লেয়ার করবে না। তখন প্রতিটা শিপকে ২০ থেকে ৩০ হাজার ডলার ডেমারেজ (ক্ষতিপূরণ) দিতে হয়।’

অপচয় কমাতে সরকারিভাবে কোনো পণ্য বিদেশ থেকে আনার আগেই ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠনের পর বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, ‘ট্যাক্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা অনেকেই সচেতন থাকি না। সরকারি বিভিন্ন দপ্তর মালামাল আনার সময় ইনকাম ট্যাক্স বা সিটি ভ্যাট পে করে না৷ সে ক্ষেত্রে মালামাল শিপিংয়ে আনলোড করা যায় না।

‘আবার অনেক সময় আনলোড করলেও পোর্টে পড়ে থাকে। বিশেষ করে শিপ থেকে যদি আনলোড না করা যায়, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স না দিলে তো পোর্ট ডিক্লেয়ার করবে না। তখন প্রতিটা শিপকে ২০ থেকে ৩০ হাজার ডলার ডেমারেজ (ক্ষতিপূরণ) দিতে হয়।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

সচিব বলেন, ‘সে জন্য কেবিনেট ডিভিশন বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, এ বিষয়টি নিয়ে কেবিনেট সচিব সবাইকে নিয়ে বসে বিষয়টি ক্লিয়ার করেন। যাতে ইনকাম ট্যাক্স বা ভ্যাট যতটা দেয়ার, … যেকোনো পণ্য অর্ডার দেয়ার আগেই যেন সম্পন্ন থাকে।

‘আর কোনো ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজন হলে, আমরা অনেক ক্ষেত্রে জরুরি জিনিস নিয়ে আসছি, যেমন- পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে জরুরি জিনিস নিয়ে আসছি… হয়ত জুলাই মাসের ৫ তারিখে। তখন নতুন বছরের বরাদ্দ পাওয়া যায় না। আমরা কিন্তু আগেই চিঠিতে একটা আন্ডারটেকিং দিয়ে দিচ্ছি, যে আমার ১০০ কোটি টাকার মালামাল আসবে এখানে ২০ কোটি টাকার সিটিভ্যাট রয়েছে। সেখানে আন্ডারটেকিং দিচ্ছি যে সিটিভ্যাট আমরা বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেব। তখন কিন্তু ছেড়ে দেয়। কখনও আটকা পড়েনি।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ বিষয়টি ভালোভাবে দেখতে বলা হয়েছে, অবশ্যই যেন সব ক্ষেত্রে সিটিভ্যাট দেয়া হয়। আর ইনস্ট্যান্ডলি জরুরি অনেক সময় কোনো প্রকিউরমেন্ট না থাকে সেক্ষেত্রে কোনো ডেমারেজ দিতে না হয় এবং পোর্টে পড়ে না থাকে এ বিষয়গুলো ক্লিয়ার করে রাখতে হবে।’

এ সময় মন্ত্রী, সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কেউ জিওবি বা নিজস্ব টাকাতে বিদেশ যায়, সেক্ষেত্রে পিএমও থেকে পারমিশন নিতে হবে। এ ছাড়া কিন্তু বিল পাস করবে না একাউন্টস। কিন্তু ফরেন এইডের আন্ডারে যদি যায় বা প্রকিউরমেন্টের বিষয়ে যদি কেউ যায়।

‘যেমন ধরেন আপনি বড় ধরনের একটি মেশিনারি কিনবেন, তখন সেটা চালানোর জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। সেটা প্রকিউরমেন্টের সঙ্গে খরচ ধরা থাকে। ওই ক্ষেত্রে অনুমতি দেয়া আছে সেটা আলাদা বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘এখনতো খুবই কম যাচ্ছে। কেবিনেটের সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জিওবিরর টাকায় কাউকে বিদেশ যাওয়া বিষয়ে আমি সচিবদেরও বলে দিয়েছি। তবে কিছু কিছু জায়গায় যেমন, পররাষ্ট্র সচিব, ইআরডি সচিব, শিক্ষা সচিব, কৃষি সচিব তারা কিন্তু আন্তর্জাতিক অনেক বড় বড় সংস্থার সদস্য।

‘সেসব ক্ষেত্রে আমাদের কোনো অপশন থাকে না। জিওবির টাকা বা ডলার খরচ করে বিদেশ ভ্রমণে খুবই শক্ত অবস্থানে সরকার। ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারের বা ফরেন কারেন্সি ব্যবহার করে কেউ যাচ্ছে না। যেটা যাচ্ছে প্রকিউরমেন্টের আন্ডারে বা ফরেনএইডের আন্ডারে।’

এ বিভাগের আরো খবর