বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৪০

সরকারি ২৫০টি বন্ডের লেনদেনের সোমবার শুরু করার ঘোষণা এসেছিল বৃহস্পতিবারেই। কিন্তু সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বেলা ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত একটি বন্ডও হাতবদল হতে দেখা যায়নি।

কয়েক বছরের চেষ্টার পর পুঁজিবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেনের যে ঘোষণা এসেছিল, দিন শেষে তার কোনো ফল দেখা যায়নি। একটি সিকিউরিটিকের লেনদেন না হওয়ার পর প্রশ্ন জাগে, বিনিয়োগকারীরা কি একেবারেই আগ্রহ দেখাননি এই বিষয়টি নিয়ে, যেটিকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বিকাশের জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখা হচ্ছিল।?

এতদিন এই সিকিউরিটি কিনতে যেতে হতো ব্যাংকে। কিন্তু এখন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসে কম ঝামেলায় কম ঝুঁকির এসব বন্ডে বিনিয়োগ করতে পাড়বে। সহজে বিক্রিও করা যাবে।

সরকারি ২৫০টি বন্ডের লেনদেনের সোমবার শুরু করার ঘোষণা এসেছিল বৃহস্পতিবারেই। কিন্তু সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বেলা ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত একটি বন্ডও হাতবদল হতে দেখা যায়নি।

তাহলে কি কোনো ক্রেতাই ছিল না?- এমন প্রশ্নে ব্রোকারেজ হাউসের মালিকরা জানাচ্ছেন, আগ্রহ ছিল না এমন নয়। বন্ডের ক্রেতা এবং বিক্রেতা তৈরি। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কিছু কাজ বাকি ছিল। ফলে আসলে এগুলোর লেনদেনের সুযোগ ছিল না।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ট্রেজারি বন্ডগুলো বিপি আইডি থেকে বিও আইডিতে আসতে হবে। সেটা আজকে আসে নাই। তাই লেনদেন হয় নাই। তবে এটা দ্রুত হয়ে যাবে। চেয়ারম্যান স্যার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছেন।’

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি গ্লোবাল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘লেনদেন হয়নি। কারণ হচ্ছে, আমাদের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয় বিও ফরমেটে, আর বাংলাদেশে ব্যাংকে লেনদেন হয় বিপি আইডিতে।

‘এখন ডিপি থেকে বিও আইডিতে ট্রান্সফার হতে হবে। তাহলে লেনদেনটা হবে। এই ট্রান্সফার করার কাজটা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কাজটি করতে পারেনি। তাই আজকে ট্রেজারি বন্ড লেনদেন হয়নি।

‘আমাদের ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে লেনদেন করার জন্য বিনিয়োগকারীরা বসে ছিল। কিন্তু লেনদেন করতে পারেনি।’

ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) জিয়াউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যদিও মোবাইল অ্যাপ থেকে অর্ডার দেয়া যায়নি। আমরা ১৬৫টি ব্রোকারেজ হাউসকে আজকে আলাদা একটি টার্মিনাল দিয়েছিলাম। যারা চেয়েছিল তাদের দেয়া হয়েছিল।

‘আমরা একটি পদ্ধতি তৈরি করছি। আগেই পরীক্ষা করেছি, আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংকের আবার ডিপি আইডি আছে। সেগুলো আবার বিও আইডির সঙ্গে মিল করতে হয়।…’

সব কাজ শেষ না করেই বৃহস্পতিবার একটি সার্কুলার জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসইসিকে আলাদাভাবে চিঠিও দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিএসইসির পক্ষ থেকে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন জানিয়েছিল, সোমবার থেকে বিও আইডিতে সরাকরি সিকিউরিটিজ কেনা বেচা করা যাবে।

পুঁজিবাজারে সরাকরি সিকিউরিটিজ অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা এবং মার্কেট লট হবে ১ হাজার অর্থাৎ নূন্যতম ১ লাখ টাকার সরকারি সিকিউরিটিজ কিনতে হবে। ট্রজারি বন্ডের সুদ সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে।

লেনদেন না হলেও ২৫০টি সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেন শুরুর ঘোষণার পরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে।

গত বৃহস্পতিবার (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২১ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। সোমবার (ডিএসই) বাজার মূলধন হয়েছে ৭ লাখ ৭২ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর