জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকগুলোর এটিএম কার্ড সেবায়ও। তবে ইতোমধ্যে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে সেখানে অনেক বুথে এটিএম সেবা চালু হতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার বেলা ২টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এটিএম বুথগুলোতে কয়েক ঘণ্টা বিকল্প উপায়ে সেবা দেয়া হয়। কিন্তু সব বুথে জেনারেটর ও ইউপিএস সুবিধা না থাকায় এক পর্যায়ে কার্ড সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এতে টাকা তুলতে বুথে গিয়ে গ্রাহকদের খালি হাতে ফেরত যেতে হয়েছে।
গ্রিড বিপর্যয়ের ফলে মঙ্গলবার বেলা ২টা ৫ মিনিটে একযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত জেনারেটর ও ইউপিএস সুবিধা না থাকায় কার্ড সেবায় বিঘ্ন ঘটে।
রাজধানীর মহাখালী, কারওয়ান বাজার, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরপরই এটিএম বুথগুলোর সেবা বন্ধ হয়ে যায়। ইউপিএস সুবিধা থাকা বুথগুলোও ঘণ্টা দুয়েক পরই সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
রাজধানীর মহাখালী-গুলশান সংযোগ সড়কে থাকা ট্রাস্ট, ইবিএল, প্রিমিয়ার ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এটিএম বুথ ও নগদ টাকা জমা নেয়ার সিআরএম (ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন) সেবা বন্ধ ছিল।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছেন না।
ব্যাংকগুলো বিভিন্ন শাখা সংলগ্ন এটিএম বুথ ও শপিং মলে থাকা বুথ চালাতে জেনারেটরের ব্যবস্থা করে থাকে। এর বাইরে থাকা এটিএম বুথগুলোতে বিদ্যুতের বিকল্প সেবা থাকে না। ফলে এসব বুথে বিদ্যুতের অভাবে সেবায় বিঘ্ন ঘটেছে।
ব্যাংকের এটিএম সেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানান, সব এটিএমে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা যায়নি। ইউপিএস ব্যাকআপ থাকা বুথগুলো দুই ঘণ্টা পর্যন্ত সেবা দিতে পারে। এরপর তা বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে শাখা ও শপিং মলের বাইরের বুথগুলোতে সেবা বিপর্যয় ঘটেছে। বিদ্যুৎ আসামাত্রই অনেক বুথে সেবা চালু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের মোট এটিএম বুথ রয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার। আর প্রতিমাসে এসব বুথে লেনদেনের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।