বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল নিরীক্ষায় বিএসইসির কমিটি

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২২ ২০:৫০

সংস্থাটির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি তেমন কিছুই না। তহবিলের এক বছর হয়ে গেছে। তাই তাদের পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখতে চাইছি। আমাদের বিবেচনায় তারা ভালো কাজ করছে।‘

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে গঠিত পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের কার্যক্রম নিরীক্ষার জন্য দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিএসইসি)।

রোববার বাংলাদেশ বিএসইসি এই নির্দেশনা জারি করেছে।

পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে বিভিন্ন কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশের অর্থ দিয়ে ২০২১ সালে কাজ শুরু করে এই তহবিল।

এটির শুরুতে যে আইন করা হয়, সে সময় বলা হয়, বিএসইসি চাইলে বা প্রয়োজন মনে করলে সিএমএসএফের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে পারবে।

‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’-এর ১৩ নম্বর ধারায় বলা আছে, যদি বিএসইসির তৈরি করে দেয়া কমিটি কোনো তথ্য জানতে চায় তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফান্ডের কর্মকর্তাদের সেসব তথ্য লিখিতভাবে জানাতে হবে।

রোববার বিএসইসির সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের কার্যক্রম খতিয়ে দেখা দরকার হয়ে পড়েছে।

এই খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরা হলেন বিএসইসির উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম ও বিএসইসির সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন সেলিম।

কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

খতিয়ে দেখার প্রয়োজন কেন পড়ল- এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে জানি না। আপনি কমিশনার শামসুদ্দিন স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’

তবে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

পরে সংস্থাটির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি তেমন কিছুই না। তহবিলের এক বছর হয়ে গেছে। তাই তাদের পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখতে চাইছি। আমাদের বিবেচনায় তারা ভালো কাজ করছে।’

তহবিলটি কী, কত টাকা জমা

২০২১ সালের শুরুর দিকে ‘পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল’ নামে বিশেষ এই তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়। এর উদ্দেশ্য তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিপুল পরিমাণ অবণ্টিত অর্থ বিনিয়োগে আনা।

২০২১ সালের জুলাইয়ে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’ গেজেট প্রকাশ হয়।সেই বছরের আগস্ট থেকে কাজ শুরু করে তহবিল। এরপর অবণ্টিত লভ্যাংশের টাকা তহবিলে জমা দিতে বলা হয় কোম্পানিগুলোকে।

চলতি বছরের ৩১ জুলাই কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ জমা দেয়ার সময়সীমা শেষ হয়েছে। কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও নগদ অর্থ ও শেয়ার জমাদানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তহবিলে উল্লেখযোগ্য অর্থ জমা দেয়নি।

ফান্ড গঠনের এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও মোট ফান্ডের মাত্র ১ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। যদিও ধারণা করা হচ্ছিল, প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে।

অবণ্টিত ও দাবিহীন লভ্যাংশ কী?

কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ ঘোষণার পর তা তাদের ডিভিডেন্ড অ্যাকাউন্ট থেকে বিনিয়োগকারীদের নামে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

নগদ লভ্যাংশ সরাসরি বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। স্টক লভ্যাংশ জমা হয় তাদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) অ্যাকাউন্টে।

যাদের নামে শেয়ার, তারা কেউ মারা গেলে, বিদেশে চলে গেলে কিংবা দীর্ঘদিন খোঁজ না রাখলে তাদের ব্যাংক হিসাব বন্ধ বা অকার্যকর হয়ে যায়। বিও হিসাবের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।

এমন ক্ষেত্রে লভ্যাংশের টাকা বা শেয়ার বিনিয়োগকারীর ব্যাংক বা বিও অ্যাকাউন্টে জমা না হয়ে কোম্পানির কাছে ফেরত যায়।

বিনিয়োগকারীর মৃত্যুর পর অনেক সময় তথ্য বা কাগজপত্রের অভাবে তার মনোনীত উত্তরাধিকারও সেই টাকা বা শেয়ার আর দাবি করেন না।

এর বাইরেও আইনি জটিলতা বা অন্য কারণে লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীর হাতে পৌঁছায় না অনেক সময়। তখন কোম্পানি ওই সব লভ্যাংশ ‘সাসপেন্ডেড’ হিসাবে জমা দেখিয়ে চূড়ান্ত আর্থিক বিবরণী তৈরি করে।

এ বিভাগের আরো খবর