বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোজ্যতেলে ভ্যাটমুক্ত সুবিধা আরও ৩ মাস

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২২ ২০:৩৭

বর্তমানে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ছাড়া আর কোনো স্তরে ভ্যাট নেই। এ সুবিধাটি দুই দফা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ মেয়াদ ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর আরও তিন দিন পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না আসায় বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

ছয় মাস ধরে চলা ভোজ্যতেলে উৎপাদন ও ব্যবসায় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট মওকুফের মেয়াদ আবারও বাড়তে পারে।

ভোজ্যতেলের দাম যেন নতুন করে না বাড়ে, তাই ভ্যাট প্রত্যাহারের সুবিধা আরও তিন মাস বহাল রাখতে পারে বলে বাণিজ্য ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আগামী জুন পর্যন্ত এই সুবিধা বাড়াতে গত ২০ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরে চিঠি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত (কাঁচামাল) সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কমলেও ডলারের দাম বাড়ার কারণে দেশীয় বাজারে পণ্যটির মূল্য কমানো সম্ভব হচ্ছে না।

‘তাই স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য এবং সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট অব্যাহতির বর্তমান মেয়াদ ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত পুনরায় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’

এনবিআরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি পেয়েছি। শিগগিরই এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে।’

বর্তমানে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ছাড়া আর কোনো স্তরে ভ্যাট নেই। এ সুবিধাটি দুই দফা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ মেয়াদ ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর আরও তিন দিন পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না আসায় বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

ভোজ্যতেল উৎপাদক ও বিপণনকারী কোম্পানি সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভ্যাট মওকুফ সুবিধার মেয়াদ অব্যাহতি না রাখা হলে ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক-করহার বেড়ে যাবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাজারে। সে জন্য আমাদের দাবি হচ্ছে, বর্তমান যে সুবিধা রয়েছে তার মেয়াদ আগামী বাজেট পর্যন্ত বহাল রাখা হোক।’

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর গত মার্চ থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারেও দামে প্রভাব পড়ে।

ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ কিছুটা কমাতে গত ১৪ মার্চ এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করে সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করে।

এর দুদিন পর ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। তখন এর মেয়াদ ঠিক করা হয় ৩০ জুন পর্যন্ত।

পরে ৩ জুলাই আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ভ্যাট মওকুফ সুবিধার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করা হয়। যার মেয়াদ শেষ হয় গত শুক্রবার।

বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমা অব্যাহত রয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানিকারক দেশগুলোতে মজুত বেড়ে যাওয়ায় এমন দরপতন হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কমোডিটি এক্সচেঞ্জ শিকাগো বোর্ড অফ ট্রেডে গত ২৮ জুলাই সয়াবিন তেলের দর উঠেছিল টনপ্রতি ১ হাজার ৪৫১ ডলার। বর্তমানে টনপ্রতি দাম ১ হাজার ২০০ ডলার।

আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের চেয়ে বেশি কমেছে পাম তেলের দাম।

তবে দেশের বাজারে এই দাম কমার সুফল পাওয়া যায়নি ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের কারণে। গত কয়েক মাসে ৮৪ টাকার ডলারের দর এখন ১০৬ টাকা।

বর্তমানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দর নির্ধারিত আছে ১৯২ টাকা আর প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ঠিক করে দেয়া হয়েছে ১৩২ টাকা।

দেশের ব্যবসায়ীরা মূলত মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে পরিশোধিত আকারে পাম অয়েল আমদানি করেন।

আর অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল থেকে। বছরে ২১ লাখ টন ভোজ্যতেল আমদানি হয়। এ ছাড়া মাড়াই করে পাওয়া যায় আরও তিন লাখ টন সয়াবিন।

এ বিভাগের আরো খবর