শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন চারটি ব্যাংকিং স্কিম নিয়ে এসেছে পদ্মা ব্যাংক।
স্কিম চারটি হলো পদ্মা নেক্সটজেন অ্যাকাউন্ট, পদ্মা মাস্টার মাইন্ড অ্যাকাউন্ট, পদ্মা স্পিরিট মান্থলি ডিপোজিট প্ল্যান এবং পদ্মা ব্যাংক স্টুডেন্ট ফাইল।
বুধবার পদ্মা ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়।
চারটি স্কিমের মধ্যে পদ্মা নেক্সটজেন অ্যাকাউন্ট ১৮ বছরের নিচে যে কেউ ১০০ টাকা দিয়ে খুলতে পারবেন। আকর্ষণীয় রেটে করা যাবে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়।
পদ্মা মাস্টার মাইন্ড অ্যাকাউন্টটি ১৮ থেকে ২৮ বছরের নিচে যে কেউ পরিচালনা করতে পারবেন। ৫০০ টাকাতেই খোলা যাবে অ্যাকাউন্টটি। দেশের যেকোন এটিএম বুথ থেকে টাকা উঠাতে লাগবে না এক পয়সাও।
হাত খরচ থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে খোলা যাবে পদ্মা স্পিরিট মান্থলি ডিপোজিট প্ল্যান। কোনো ঝামেলা ছাড়াই বিভিন্ন মেয়াদে পরিচালনা করা যাবে এটি।
পদ্মা নেক্সটজেন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের বাবা-মা ও পদ্মা মাস্টারমাইন্ড অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের জন্য এই স্কিম।
পদ্মা ব্যাংক স্টুডেন্ট ফাইল সবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের জন্য এটি। এর মাধ্যমে চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারত এবং সার্কভুক্ত দেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা দেশের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সাল পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ে সাড়ে ২৮ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং এর বিপরীতে জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ১২শ কোটি ছেলেদের আর ১৩শ কোটি মেয়েদের।
পদ্মা ব্যাংক স্টুডেন্ট ব্যাংকিং-এর হেড নাফিসা আরা বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা দেশের ১১ জেলায় রোডশো করেছি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রচুর সাড়া পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রায় সব ব্যাংকই স্টুডেন্ট ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করছে। তবে আমরা একটু আলাদা, কেননা আমরা দিচ্ছি ফ্রি চেক বই ও ডেবিট কার্ড।’
হেড অব রিটেইল অ্যান্ড এসএমই ব্যাংকিং রকিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের বন্ধুই হলো আধুনিক টেকনোলজি। এখন সময় এসেছে ফিনটেককেও আপন করে নেয়ার। যার জন্য সেরা মঞ্চ হলো স্টুডেন্ট ব্যাংকিং। তাদের সহযোগিতায় চ্যালেঞ্জটা আমাদেরই বেশি। তাই আমরা অত্যাধুনিক সব সেবা দিতে বদ্ধপরিকর।’
পদ্মা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও জাবেদ আমিন বলেন, ‘হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে নতুন প্রজন্ম। এই চেষ্টাই করে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক।’