দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের দাম নির্ধারণে নিলাম শুরু হবে ১০ অক্টোবর।
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৯৫ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন পায় কোম্পানিটি।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর নিয়ম অনুসারে, প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি করার লক্ষ্যে নিলামের আয়োজন করা হয়। যে দামে এসে তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেই দামের (কাট অফ প্রাইস) চেয়ে ৩০ শতাংশ অথবা ২০ টাকা এই দুইয়ের মধ্যে যেটি কম, সেই দামে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে।
এখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি করার নিলাম হবে। নিলাম শুরু হবে ১০ অক্টোবর, শেষ হবে ১৩ অক্টোবর।
প্রত্যেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকার শেয়ারের জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রতিটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকে তাদের আবেদন করা শেয়ারের পুরো টাকা জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিতে হবে।
১৯৭০ সালে নিবন্ধন পায় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ। ১৯৯৮ সাল থেকে তারা কাজ শুরু করে।
কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ, আর চেয়ারম্যান তাহমিনা বেগম।
কোম্পানিটি মানুষের জন্য ওষুধ তৈরি করে ও সারা দেশে বিক্রি করে।
২০১৮ সালে কোম্পানিটি মুনাফা করে ২২ কোটি ২১ লাখ। ২০১৯ সালে করেছিল ২৪ কোটি ৪০ লাখ, পরের বছর ২৪ কোটি ২৫ লাখ, ২০২১ সালে ৩২ কোটি ৫ লাখ টাকা মুনাফা করে।
২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনর্মূল্যায়ন-পরবর্তী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। পাঁচ বছরের ভারিত গড় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেয়া শর্ত অনুসারে, তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
কোম্পানিটির আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার হচ্ছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।